ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দুর্গন্ধ পেয়ে বসতঘর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার দেবগ্রামের মধ্যপাড়া নিজ বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মৃত ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল মিয়া (৩৮)। তিনি উপজেলার পৌরসভার দেবগ্রামের বাসিন্দা মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। তাঁর স্ত্রী চট্টগ্রামে থাকেন। তাঁদের আট বছরের একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। তোফাজ্জল দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে দেবগ্রামের মধ্যপাড়ার কাদির মোল্লার বাড়ির পাশে তোফাজ্জলের বসতঘর থেকে দুর্গন্ধ হচ্ছিল। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা দরজা খুলে বসতঘরের মেঝেতে তোফাজ্জলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা–পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তোফাজ্জল নিজের বসতঘরে একাই থাকতেন। কারও সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতেন না। সব সময় একই পোশাক পরতেন ও অস্বাভাবিক আচরণ করতেন।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

ছমিউদ্দিন বলেন, তোফাজ্জল মিয়া মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং একাই থাকতেন। বসতঘরের দরজা পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি প্রথমে কেউ টের পাননি। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে লাশ উদ্ধার করা হয়। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও কবিরহাট উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের এক কর্মকর্তাসহ দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি হলেন মেঘনা গ্রুপের (ফ্রেশ) আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ার (৪৫)। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আবদুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে। নিহত অপরজন হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হায়দার (৫২)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পশ্চিম মাইজদী এলাকায় মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী সড়কের নাহার কটেজের মোড়ে মোটরসাইকেল আরোহী মেঘনা গ্রুপের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ারকে পেছন থেকে চাপা দেয় একটি পণ্যবাহী গাড়ি। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ওই গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে সুধারাম থানার পুলিশ গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে এবং গাড়িটি আটক করে।

সুধারাম থানার উপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কের মোড় ঘুরতে গিয়ে সম্ভবত পণ্যবাহী গাড়িটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল থেকে আরোহী গোলাম ছারওয়ার ছিটকে গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে যান। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অপর দিকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবিরহাটের গ্রামের বাড়ি থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস করানোর জন্য জেলা শহরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বেলাল হায়দার (৫২) নামের এক ব্যক্তি। পথে সুন্দলপুর ইউনিয়নের হাতাইল্লা পোল নামের স্থানে বিপরীত দিক হতে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে বেলালকে বহনকারী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর বেলাল হায়দারকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বেলালের স্ত্রী, অটোরিকশার চালক, প্রাইভেট কারের চালক, আরোহীসহ কমপক্ষে আরও পাঁচজন। তাঁরা জেলা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে কবিরহাট থানার পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ