চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ
Published: 5th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীরের আদালত ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আদালতে আবেদন জমা দেয় পুলিশ। আগামীকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপর তিন মামলায় ভার্চুয়ালি শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নগরীর কোতোয়ালি থানার আইনজীবী হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাজে বাধাদান, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলাসহ তিন মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হবে আগামীকাল মঙ্গলবার।
২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বুধবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। ফলে ওই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস জামিন পান। তবে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আজ শুনানি দিন ধার্য থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকীর মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সুপ্রিম কোর্টে বিচারিক কার্যক্রম অধাবেলার পর স্থগিত রাখা হয়। এতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আজ চেম্বার আদালতে শুনানির কথা থাকলেও তা হয়নি।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রোববার থেকে হাইকোর্টের ৪৯ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
পবিত্র ঈদুল আজহা, অবকাশ ও সাপ্তাহিক ছুটির পর সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট খুলছে রোববার। আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের পদচারণায় আবার মুখরিত হয়ে উঠবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ।
এদিকে, অবকাশ শেষে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ৪৯ বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এসব বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে।
গত ৩ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ। প্রথা অনুসারে প্রতিবার অবকাশ শেষে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি তার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে বেঞ্চ গঠন ও পুনর্গঠন করে দেন।
বিজয় ভবন থেকে ১৪টি বেঞ্চ স্থানান্তর
সুপ্রিম কোর্টের বিজয়-৭১ ভবন থেকে ১৪টি হাইকোর্ট বেঞ্চ এনেক্স ভবন ও মূল ভবনের বিভিন্ন এজলাস কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞার সই করা এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট, অ্যাডমিরালটি, কোম্পানি ও ফৌজদারি মোশন এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চগুলো বিজয়-৭১ ভবনের বিভিন্ন এজলাস কক্ষে অবস্থিত। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব বেঞ্চ স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রোববার থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিজয় ৭১ ভবনটি আইনজীবী সমিতি ভবন থেকে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী স্থানে ও ভবনে লিফট অপ্রতুলতার কারণে আইনজীবীরা বিশেষ করে প্রবীণ ও মহিলা আইনজীবীরা যথাসময়ে আদালতে হাজির হতে পারছেন না। এতে বিচারিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বিচারপ্রার্থীরা সঠিক সময়ে বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি এজলাস স্থানান্তরের নির্দেশনা দেন।