অনেকে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন, আমাদের কাছে নাম এসেছে: শিবির সভাপতি
Published: 5th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনারা অনেকে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। অনেকের নাম ও তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে এসেছে।’
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা কারও নাম উল্লেখ করতে চাই না। আমাদের কাছে অনেকের তথ্য রয়েছে। দেশে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে হাসিনার চেয়ে ভয়াবহ পরিণতি আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে জাহিদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিতের দাবিতে এই মানবপ্রাচীরের আয়োজন করে। তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল ‘শাপলা গণহত্যা’।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠা দিয়ে গণহত্যা, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়–পরবর্তী গণহত্যা, ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যা কিংবা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এসব গণহত্যায় শহীদের সংখ্যা নিরূপণ ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ ও জাতিসত্তার ইতিহাস লিখতে হলে এ ভূখণ্ডে মুসলিমদের বাদ দেওয়া যাবে না। তাঁদের অবদান অনেক বেশি।’
মানবপ্রাচীরে অংশ নেন নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর গণহত্যায় তাঁর ছোট ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছোট ভাই কোনো সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি ছিল না। ইসলামের অবমাননার প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল সে। কিন্তু তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হোক।’
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু মূসা, শিক্ষা সম্পাদক মাহিনুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ হ দ ল ইসল ম ম নবপ র চ র গণহত য
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েল ‘জলদস্যুর কাজ’ করেছে: এরদোয়ান
ইসরায়েলের গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌযান আটককে ‘জলদস্যুর কাজ’ আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। নিজের দল একে পার্টির এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ ধরনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে, এই গণহত্যাকারীরা গাজায় নিজেদের অপরাধ ঢাকতে পাগল হয়ে গেছে।
এরদোয়ান আরও বলেন, ‘গণহত্যাকারী (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহু সরকার শান্তির ন্যূনতম সুযোগ আসুক, সেটাও সহ্য করতে পারে না। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আবারও বিশ্ববাসীর সামনে গাজায় নির্মমতা ও ইসরায়েলের খুনি চেহারা তুলে ধরেছে। আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ছেড়ে যাব না। যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমরা আমাদের সব ক্ষমতা দিয়ে কাজ করে যাব।’
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভেঙে সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান অংশ নেয়। এ বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক আছেন।
গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে ছেড়ে আসা এই নৌবহর বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে গাজার কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছায়। ২০০৭ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরের ওই জলসীমা অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল মাধ্যরাতে নৌবহরের জাহাজে জাহাজে উঠে ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা অধিকারকর্মীদের আটক করে নিজেদের দেশের বন্দরে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা।
আরও পড়ুনগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল৩ ঘণ্টা আগেইতিমধ্যে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে বাকি সব জাহাজ আটক করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা বা আইনসম্মত নৌ অবরোধ লঙ্ঘন করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনসুমুদ ফ্লোটিলার ২৪ জাহাজ এগিয়ে যাচ্ছে, একটি গাজার জলসীমায়: দেখুন লাইভ ট্র্যাকারে৮ ঘণ্টা আগে