নেইমার, জেমস বন্ড থেকে তাসকিনের চিকিৎসক যিনি
Published: 6th, May 2025 GMT
তোতলামি সারানোর চিকিৎসকও কখনো কখনো তোতলা হতে পারেন। তখন তোতলামি সারাতে সেই চিকিৎসককে যেতে হয় অন্য চিকিৎসকের কাছে। প্রফেসর জেমস ক্যাল্ডারের অবস্থাও খুব একটা আলাদা নয়। পা ও গোড়ালির (অ্যাঙ্কেল) অস্ত্রোপচারে বিশেষজ্ঞ ক্যাল্ডার। দ্য টাইমসের প্রতিবেদক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার এক সপ্তাহ আগেই এক সতীর্থ চিকিৎসকের মাধ্যমে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করান ক্যাল্ডার।
সেই প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ক্যাল্ডারের হাঁটাচলা স্বাভাবিকই ছিল। খোঁড়াতে দেখা যায়নি। ক্যাল্ডার নিজেই জানালেন তাঁর বর্তমান পরিস্থিতি, ‘অস্ত্রোপচার করানোর আগে এবং করানোর এক দিন পর যেমন ছিলাম, এখন তার চেয়ে ভালোভাবে হাঁটু ভাঁজ করতে পারছি।’
মজা করে কেউ কেউ বলতে পারেন, চিকিৎসকের নিজেরই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে তাঁর রোগীদের না জানি কী অবস্থা!
আরও পড়ুন‘পাসপোর্ট সময়মতো না আসায়’ ইউরো জেতা হয়নি রাফিনিয়ার১০ ঘণ্টা আগেনা। ক্রীড়াবিদদের কাছে ক্যাল্ডার খুব জনপ্রিয় অর্থোপেডিকস চিকিৎসক। বিশ্বসেরা সার্জন ও দ্রুত সেরে ওঠার প্রয়োজন হলে ক্রীড়াবিদেরা ভিড় জমান মধ্য লন্ডনে ক্যাল্ডারের প্রতিষ্ঠা করা ফোর্টিয়াস ক্লিনিকে। এই ক্লিনিকের তিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা। ক্লিনিকে ঢোকার পথে হলরুমে নেইমার ও ভার্জিল ফন ডাইকের সই করা দুটি জার্সি ফ্রেমে বাঁধাই করে ঝুলিয়ে রাখা। চোটের কারণে কিছুদিন আগে শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে না পারা বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদও ক্যাল্ডারকে দেখিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে অ্যাকিলিস টেনডিনোপ্যাথিতে ভোগা তাসকিন গত মাসের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে যান। গত ২৯ এপ্রিল ক্যাল্ডারের সঙ্গে তাঁর দেখা করার দিন-তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। ক্যাল্ডারকে নিয়ে তখন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ওই চিকিৎসক একজন বিশেষজ্ঞ গোড়ালির সার্জন। আমরা নিজেরাও যথেষ্ট খোঁজখবর নিয়েছি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। সব দিক বিবেচনায় আমরা সেরা বিকল্পটাই বেছে নিয়েছি।’
নেইমারও চোটের চিকিৎসা করিয়েছেন ক্যাল্ডারের কাছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান সংস্কার ও বিচার দেখতে চায় খেলাফত মজলিস
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলটির পক্ষ থেকে এসব দাবি তোলা হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগেই দৃশ্যমান সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি। গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। পেশিশক্তি, কালোটাকার প্রভাবমুক্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে হবে। জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকে বলা হয়, সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এগুলোর উল্লেখ করে বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্রের ১৩তম দফায় এক-এগারো সরকার ও ২০০৮ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৭তম দফায় অভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার উল্লেখ করা হয়েছে, যা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সংখ্যা থেকে অনেক কম।
এ ছাড়া ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে আলেম-উলামা ও ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা, ২০১৮ সালে ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক দমন-নিপীড়ন, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ২১ জন মানুষকে হত্যা—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান খেলাফত মজলিসের নেতারা। অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেন, এসব বিষয় সংশোধন করে জুলাই ঘোষণাপত্রে সংযুক্ত করা না হলে তা অপূর্ণাঙ্গ, অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থি ও জাতির জন্য হতাশাজনক হবে।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী প্রমুখ।