সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আরো চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন। এসময় কারাগার থেকে অনলাইনে শুনানিতে হাজির করা হয় আসামি চিন্ময় দাসকে।

এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এদিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো.

রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আরশাদুর রউফ। 

গত সপ্তাহের বুধবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন প্রথমে স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পরে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে জামিন স্থগিতের আবেদন পুনরায় শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করা হয়। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছিলেন, চেম্বার বিচারপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি আসামির আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন। তারপর আদেশ দেবেন।

এর আগে ওইদিন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেন হাইকোর্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তা‌র দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় তাকে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।

এক পর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল দুর্বৃত্তের হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ।

২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি মামলায় এবং আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা একটি মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। আসামির নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চিন্ময়কে এদিন জেলখানা থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত করা হয় বলে জানান সহকারী পিপি।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ডের দিন আদালত এলাকার বিভিন্ন ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা হয়। সোমবার আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি চারটি মামলায় চিন্ময়কে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইনজ ব জ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন নোবেল

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। নোবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলা মনি। তিনি বলেন, মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নোবেলের জামিনে তাঁর আপত্তি নেই বলে আদালতকে তিনি লিখিতভাবে জানান। শুনানি নিয়ে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

১৯ জুন নোবেলকে বিয়ে করার অনুমতি দেন আদালত। পরে সেদিনই কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় নোবেল ও সেই নারী এবং দুজনের পক্ষ থেকে চারজন সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করলেন নোবেল২০ জুন ২০২৫

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২০ মে থেকে কারাগারে আছেন গায়ক নোবেল। সেদিন নোবেলের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছিলেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি। ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।

ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, সাত বছর আগে (২০১৮) ফেসবুকে নোবেলের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর ডেমরায় নোবেলের স্টুডিও দেখানোর জন্য ওই নারীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটার দিকে তিনি (নারী) বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেন নোবেল। পরে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করেন নোবেল। পরে ভয় দেখিয়ে সাত মাস ধরে ওই বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়।

আরও পড়ুনধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন নোবেল১৮ জুন ২০২৫

পুলিশ আদালতকে আরও জানিয়েছিল, ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর (নারী) মা-বাবা ঢাকায় আসেন। পরে ওই নারীকে নোবেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদী ডিসি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
  • খুলনায় এসআইকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ 
  • আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে মানদণ্ড থাকতে হবে: টবি ক্যাডম্যান
  • বিয়ের ৫ দিন পর আইনজীবী জানালেন নোবেল বাবা হতে চলেছেন
  • ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন নোবেল
  • বদলে গেল জবির ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের’ নাম
  • চাটমোহরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, মোটরসাইকেল ভাঙচুর
  • সোনারগাঁয়ে চাদাঁ না পেয়ে হত্যার হুমকি, অস্ত্রধারী বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার 
  •  সোনারগাঁয়ে চাদাঁ না পেয়ে হত্যার হুমকি, অস্ত্রধারী বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার 
  • রূপগঞ্জে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল