সোনারগাঁয়ে প্রাইভেটকারযোগে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ছিনতাই
Published: 6th, May 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে দিনে দুপুরে সাদা প্রাইভেটকার দিয়ে অটোরিকশার পথ গতিরোধ করে যাত্রীর সাথে সাড়ে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে মহাসড়কের উপজেলার ছোট সাদিপুর এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভূক্তভোগী রুমা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সকালে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত ইসলামি ব্যাংক থেকে তিনি সাড়ে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে অটোরিকশা যোগে ছোট সাদিপুর ব্র্যাক এনজিও অফিসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট সাদিপুর ব্র্যাক এনজিও অফিস মুখি রাস্তার সামনে পৌছালে পিছন থেকে আসা একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার তাদের পথ গতিরোধ করে সাথে সাড়ে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকা মুখী সড়কে দিকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার (তদন্ত) ওসি রাশেদুল হাসান খান জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পার্শ্ববর্তী একটি কারখানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হলেও অস্পষ্টতার কারনে গাড়ি নাম্বার ও ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
তবে ইসলামি ব্যাংক ও মহাসড়কে থাকা অন্যান্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। অতিশীঘ্রই তাদের আইনের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই ৪০ হ জ র ট ক স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এই পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট রাতে লাকসাম পৌরসভার নশরতপুর এলাকার বাইপাস মার্কেটের সামনে রাস্তার ওপর ও ১৮ আগস্ট রাতে বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এসব ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৯০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন লাকসাম পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির আহমেদ। পরে লাকসাম থানা পুলিশ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী মনির আহমেদ জানান, যখন হামলা হয় তখন মন্ত্রী এলাকায় ছিলেন না। তাই তার বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– এলজিআরডি মন্ত্রীর শ্যালক ও লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহ, বিপুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কাউন্সিলর খলিলুর রহমান, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর ভাতিজা আমিরুল ইসলাম, তাজুলের উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আজকরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, আবদুল কাদের শাহীন ও কাওছার আহমেদ।