খালেদা জিয়া নিজের মতো করেই দেশে ফিরলেন। অনেকেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনকে রাজসিক বলতে চাইবেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে, গণমানুষের নেতা গণমানুষের কাছে ফিরে এলেন। তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন, সেভাবেই তাঁর চিকিৎসার বিষয়টি সম্পন্ন হলো।

তবে খালেদা জিয়ার এবারের দেশে ফেরা ভিন্ন রকমের। তিনি দেশে ফেরার পর সামগ্রিকভাবে রাজনীতির চিত্র বদলে যেতে পারে। আমাদের রাজনীতির আকাশে মাঝেমধ্যে অনিশ্চয়তার মেঘ এসে হানা দেয়। এখানো নানা ধরনের অনিশ্চয়তা আছে। খালেদা জিয়ার পরামর্শ ও অভিজ্ঞতার আলোকে সেই মেঘ কেটে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার রাজনীতিই শুরু হয়েছিল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে। এরপর তিনি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ফলে অনেকেই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ খালেদা জিয়ার উপস্থিতি রাজনীতিতে গতি সঞ্চার করবে এবং নানা গুঞ্জন ও গুজবের অবসান ঘটাবে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবেই খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল বলে বিএনপির নেতা–কর্মীরা অভিযোগ করেন। কারণ, খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পথে পরিষ্কারভাবেই বাধা সৃষ্টি করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। প্রথমত, দীর্ঘদিন জেলে আটকে রেখে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে। যে কারণ খালেদা জিয়া বারবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমনও হয়েছে, বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তাঁর অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে, কিন্তু খালেদা জিয়াকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

শেষ পর্যন্ত গণ–অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ আসে। বয়স ও রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য কমবেশি সবাই বলেছিলেন তৎকালীন সময়ে। কিন্তু শেখ হাসিনা বা তাঁর সরকারকে কোনোভাবেই বোঝানো সম্ভব হয়নি। কারণ, যাঁরা সজ্ঞানে বুঝতে চান না, তাঁদের বোঝানো মুশকিলের বিষয়।

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর সড়কে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভিড়। মঙ্গলবার সকালে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনার দুই ম্যাচ, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আর

দুই মাসের বিরতির পর সেপ্টেম্বরের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দিয়ে আবার মাঠে ফিরবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ইতোমধ্যেই লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা আলবিসেলেস্তেরা সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে খেলবে দুটি ম্যাচ। ৫ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এবং ১০ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরে অ্যাওয়ে ম্যাচে। ইকুয়েডরের বিপক্ষের এই লড়াই বাছাইপর্বে তাদের শেষ ম্যাচ।

তবে এখানেই থেমে থাকতে চাইছে না লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। বাছাইপর্ব শেষ হলেও ফিফা উইন্ডোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে শুরু করবে বিশ্ব সফর। এর প্রথম গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। অক্টোবরের ৮ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে শিকাগো ও নিউ জার্সিতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। যদিও প্রতিপক্ষের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে আর্জেন্টাইন সাংবাদিক গ্যাস্তন এদুল জানিয়েছেন, সফরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে।

অক্টোবরের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর নভেম্বর উইন্ডোতে আফ্রিকা ও এশিয়ায় প্রীতি ম্যাচ খেলবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলায় মুখোমুখি হবে স্বাগতিকদের সঙ্গে, আর এশিয়া সফরে কাতারের মাঠে খেলবে স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে।

আরো পড়ুন:

সাফ শিরোপার মিশনে ভুটান যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল

চোট কাটিয়ে ফেরার পথে মেসি, মায়ামি ভক্তদের আশার আলো

২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে আর্জেন্টিনা। ১৬ ম্যাচে ১১ জয়, ২ ড্র ও ৩ হারে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা নিশ্চিত করেছে লাতিন অঞ্চলের শীর্ষস্থান। এমনকি শেষ দুই ম্যাচে হারলেও তাদের অবস্থান বদলাবে না।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ