শিল্প ও শ্রমিকের কল্যাণের প্ল্যাটফর্ম হবে বিকেএমইএ
Published: 7th, May 2025 GMT
তৈরি পোশাক খাতের নিট ক্যাটেগরির পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএকে সদস্য কারখানা এবং শ্রমিকদের জন্য একটি কল্যাণকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড় করাতে চায় সংগঠনটির নির্বাচনী প্যানেল প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স।
রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট নীতি প্রণেতাদের সঙ্গে আলোচনা এবং পণ্য ও বাজারে বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোসহ ১৫ দফা প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়েছে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পড়ে শোনান প্যানেল লিডার এবং বিকেএমইএর বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। ১৪ বছর পর আগামী ১০ মে বিকেএমইএর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৩৫টি পরিচালক পদে প্রার্থী ৩৮ জন। এর মধ্যে প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স প্যানেলের প্রার্থী ৩৫। এই নির্বাচনে মাত্র তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্সের ইশতেহারে রয়েছে–কাস্টমস ও বন্ড জটিলতা নিরসনে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া, আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করা, কম্পোজিট ইউনিটের ক্ষেত্রে আমদানি ও ব্যবহারের স্বচ্ছ নিয়ম প্রণয়ন, বন্ডেড থেকে নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানে কাঁচামাল সরবরাহের বাধা দূর করাসহ বন্ড কমিশনারেটের অনিয়ম-জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোর করে বন্ড লাইসেন্স করানোর চাপ এবং এ-সংক্রান্ত জটিতলা নিরসনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বর্তমান শুল্ক কাঠামো বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব নয়। কাঠামো সংস্কারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তারা। গতিশীল উৎপাদন ব্যবস্থা ও লিড টাইম নিশ্চিতকরণে স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় সুতা আমদানি চালু করার লক্ষ্যে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌক্তিক আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা হবে। ব্যাংক খাতের নানা প্রকার জটিলতা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং রপ্তানিবান্ধব নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, তাঁকে কেউ কেউ ফ্যাসিবাদের দোসর বলে অভিযোগ করে থাকেন। অনুমানের ভিত্তিতে এটি করে থাকেন তারা। প্রকৃতপক্ষে তিনি বিগত দিনে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এখনও নেই। আগামীতে কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার ইচ্ছা তাঁর নেই। শিল্পের স্বার্থে সরকার এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হাতেম ছাড়াও অন্য প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, তৈরি পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের একটা বড় অংশ আসে ভারত থেকে। পাকিস্তান থেকেও কিছু কাঁচামাল আসে। দেশ দুটির মধ্যকার যুদ্ধের কারণে তাদের উৎপাদন ব্যাহত হবে। এতে কাঁচামালপ্রাপ্তি সমস্যায় পড়বে। আবার সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হবে। তিনি আশা করেন, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহল এ যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রগ র স ভ ন ট অ য ল য় ন স হ ম মদ হ ত ম আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
একটা প্রজেক্ট পাস হতে অনেক সময় লাগে: সাখাওয়াত
নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “নৌ পরিবহন সেক্টর আধুনিকায়ন একটা লং টার্ম পরিকল্পনা। আমার হাতে যে কাজগুলো আছে, সেখান থেকে যেগুলো মনে হয়েছে প্রয়োজন নেই, সেগুলোকে বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। নতুন প্রজেক্টগুলোও আমরা নিচ্ছি। নতুন কাজগুলো হয়তো আমার পক্ষে শেষ করে যাওয়া হবে না।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে একটা প্রজেক্ট পাস হতে অনেক সময় লাগে। যত দ্রুতই আমি করি না কেন- প্রজেক্ট পাস হওয়ার পরে মোবিলাইজেশন তারপর টাকা-পয়সা এরকম অনেক কিছু আছে।”
বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
এত নোংরামির পরও দেড় মাসে ভদ্রতার লাইন ক্রস করিনি: আসিফ
জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) নিয়েছি, শিমুলিয়াতে বন্দর করব। শিমুলিয়াতে বন্দরের খুব প্রয়োজন আছে। ওখানে আগেরই একটা পরিকল্পনা ছিল। যেহেতু, পদ্মা সেতু হয়ে গেছে সেজন্য লোকে ভাবছে আর কিছুর দরকার নাই। একচুয়ালি দরকার আছে। বন্দর বন্দরই, আর সেতু সেতু। ফেরির দরকার না থাকতে পারে, কিন্তু ওই অঞ্চলের জন্য নৌ বন্দর প্রয়োজন।”
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান মো. সলিমুল্লাহ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসন ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ