গ্রাহকদের সব ধরনের তথ্য সুরক্ষিত আছে এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থাও স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো ব্যাংকটির হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘এনআইডি যাচাইয়ের সুযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, ব্যাংকের মাধ্যমে এনআইডি ডেটাবেজের তথ্য হ্যাক করার অ্যাটেম্পট (চেষ্টা) হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ব্র্যাক ব্যাংক সবাইকে আশ্বস্ত করছে যে, আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করেছে এবং ব্যাংকের সিস্টেমের মাধ্যমে এনআইডি ডেটাবেজের কোনো তথ্য বাইরে (লিক) যায়নি।
 
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ব্র্যাক ব্যাংকের টেকনোলজি অবকাঠামো অত্যন্ত মজবুত ও দুর্ভেদ্য, যা যেকোনো হ্যাকিংয়ের চেষ্টা প্রতিরোধে সক্ষম। টেকনোলজি অবকাঠামো একটি দক্ষ ও পেশাদার টিমের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকে। নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাক ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ব্যাংক দায়ী বা দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সোমবার ১৩টি জেলা নির্বাচন অফিসে একযোগে দুদকের অভিযান

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, সংশোধন ও সংগ্রহে ঘুষ গ্রহণ, হয়রানি ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের তথ্যের ভিত্তিতে দেশের ১৩টি জেলা নির্বাচন অফিসে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক বলেছে, অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

এর আগে সকালে রাজশাহী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, বরিশাল, বগুড়া, জামালপুর, পটুয়াখালী, ঠাকুরগাঁও ও পিরোজপুরে একযোগে অভিযান শুরু করে দুদক।

দুদক বলছে, রংপুর জেলা নির্বাচন অফিসে সেবাগ্রহীতাদের পাসপোর্টের জন্য এনআইডির সত্যায়িত কপি নিতে গিয়ে ঘুষ ও হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ পেয়ে ছদ্মবেশে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাজশাহীতে অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার নিয়ম থাকা সত্ত্বেও কিছু কর্মচারীর রসিদ ছাড়াই নগদ অর্থ গ্রহণ করে এনআইডি ভেরিফিকেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া কুড়িগ্রামে ২০২২ সালের একটি আবেদন তিন বছর পর খারিজ করার ঘটনা নজরে আসে। একাধিক নারীসহ ভুক্তভোগীদের বক্তব্য ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়মের সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক। ময়মনসিংহে সেবাগ্রহীতা ও কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

দুদক বলছে, পাবনায় এনআইডি সংশোধনের অনলাইন আবেদনে অস্বাভাবিক বিলম্বের সত্যতা পাওয়ার পর তা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নওগাঁ ও দিনাজপুরে ছদ্মবেশে দুদকের একটি দল সরেজমিনে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অভিযোগ সংগ্রহ করে এবং কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়। বরিশালে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় প্রায়ই সার্ভার সমস্যায় পড়ছেন—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বগুড়া, জামালপুর, পটুয়াখালী, ঠাকুরগাঁও ও পিরোজপুরেও একযোগে অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সমাধান করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, শুধু এনআইডি সেবা নয়, সরকারি বিভিন্ন সেবায় দুর্নীতি বন্ধে এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোমবার ১৩টি জেলা নির্বাচন অফিসে একযোগে দুদকের অভিযান