গ্রাহকদের সব ধরনের তথ্য সুরক্ষিত আছে এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থাও স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো ব্যাংকটির হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘এনআইডি যাচাইয়ের সুযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, ব্যাংকের মাধ্যমে এনআইডি ডেটাবেজের তথ্য হ্যাক করার অ্যাটেম্পট (চেষ্টা) হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ব্র্যাক ব্যাংক সবাইকে আশ্বস্ত করছে যে, আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করেছে এবং ব্যাংকের সিস্টেমের মাধ্যমে এনআইডি ডেটাবেজের কোনো তথ্য বাইরে (লিক) যায়নি।
 
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ব্র্যাক ব্যাংকের টেকনোলজি অবকাঠামো অত্যন্ত মজবুত ও দুর্ভেদ্য, যা যেকোনো হ্যাকিংয়ের চেষ্টা প্রতিরোধে সক্ষম। টেকনোলজি অবকাঠামো একটি দক্ষ ও পেশাদার টিমের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকে। নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাক ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ব্যাংক দায়ী বা দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বৃদ্ধের দৃষ্টান্ত

বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছোট দুটি শপিং ব্যাগ পান মো. মিজানুর রহমান (৬০)। ব্যাগ খুলে ভেতরে দেখেন একটি মোবাইল ফোন ও একটি ওয়ালেট। সেই সঙ্গে একটি এনআইডি। এর সূত্র ধরে ব্যাগের ভেতর থাকা ৫২ হাজার ৫০০ টাকাসহ সবকিছু ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সদরে ঘটে এই ঘটনা।

মিজানুর রহমান আখাউড়া পৌর শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন তিনি। মিজানুর রহমান বলেন, ‘আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সামনের সড়কে মঙ্গলবার সকালে ব্যাগ দুটি পাই। মোবাইলের সঙ্গে টাকাভর্তি ওয়ালেট ছিল। ভেতরে এনআইডিতে পাওয়া ঠিকানা অনুযায়ী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শামসু মিয়ার ছেলে মো. আলমগীর মিয়ার বাড়িতে যাই। না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করি।’

পরে মিজানুর রহমান আখাউড়া পোস্ট অফিসের সামনে আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেন। আলমগীর দুটি ব্যাগের রংসহ ভেতরে কী কী ছিল তা বর্ণনা করেন। সব তথ্য মিলে যাওয়ার পর মিজানুর রহমান তাঁকে টাকা, মোবাইল ফোনসহ দুটি শপিং ব্যাগ বুঝিয়ে দেন।

এ সময় মিজানুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র সিয়াম সরকার। তিনি বলেন, ‘মিজান আঙ্কেল ব্যাগ দুটি পেয়ে আমাকে ডেকে বলার পর আমি ছবি তুলে ফেসবুকে দিই। পরে এনআইডির ঠিকানা অনুযায়ী অটোরিকশা করে আলমগীর মিয়ার বাড়িতে যাই। পরে তাঁর সবকিছু বুঝিয়ে দিই। মিজান আঙ্কেল খুব ভালো মনের মানুষ।’

টাকা হারিয়ে পাগলপ্রায় আলমগীর মিয়া। তিনি হারানো টাকা, মোবাইল ফেরত পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আখাউড়ার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করছিলাম। এমন সময় বাড়ি থেকে ফোন আসে। এই সময়ে মিজানুর রহমানের মতো লোকের অভাব। তিনি সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বৃদ্ধের দৃষ্টান্ত
  • আনসার ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য যাচাই সেবা বন্ধ করল ইসি
  • এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দুই প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধ করল ইসি
  • এনআইডি তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দুই প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধ করল ইসি
  • এনআইডির তথ্য ফাঁস, দুই প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই সেবা বন্ধ করল ইসি