সিরাজগঞ্জে এসএসসির উত্তরপত্র সরবরাহের অভিযোগে ১০ শিক্ষক গ্রেপ্তার
Published: 8th, May 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে সরবরাহ করার অভিযোগে একটি কেন্দ্র থেকে ১০ জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার সময় উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয়।
গ্রেপ্তার ১০ জন হলেন, আকদাস হোসেন (৪০), রফিকুল ইসলাম (৫২), শরিফুল ইসলাম (৪৩), শফিকুল ইসলাম (৪৪), আবদুল বাতেন (৪৫), মো.
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার রসায়ন শিক্ষক আকদাস হোসেন পরীক্ষার ‘ক’ সেটের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে কেন্দ্রের অন্যান্য কক্ষে সরবরাহ করেন। এরপর সেই উত্তরপত্র বিভিন্ন শিক্ষকের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ওই বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পরে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ১০ শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। যমুনা নদী–অধ্যুষিত দুর্গম এলাকা হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকদের আদালতে পাঠানো সম্ভব হয়নি। থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।
ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্ত একজন শিক্ষক কেন্দ্রের কোনো দায়িত্ব ছিলেন না। তারপরও তিনি কেন্দ্রে এসে প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করেছেন। অন্য শিক্ষকেরা এই কাজে সহায়তা করেছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।
ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক