সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে সরবরাহ করার অভিযোগে একটি কেন্দ্র থেকে ১০ জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার সময় উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয়।

গ্রেপ্তার ১০ জন হলেন, আকদাস হোসেন (৪০), রফিকুল ইসলাম (৫২), শরিফুল ইসলাম (৪৩), শফিকুল ইসলাম (৪৪), আবদুল বাতেন (৪৫), মো.

আনোয়ার (৩৬), জাবের আলী (৪১), জাহাঙ্গীর আলম (৫১), মোস্তাক আহমেদ (৩৬) ও আবুল কালাম (৪১)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার রসায়ন শিক্ষক আকদাস হোসেন পরীক্ষার ‘ক’ সেটের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে কেন্দ্রের অন্যান্য কক্ষে সরবরাহ করেন। এরপর সেই উত্তরপত্র বিভিন্ন শিক্ষকের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ওই বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পরে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ১০ শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। যমুনা নদী–অধ্যুষিত দুর্গম এলাকা হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকদের আদালতে পাঠানো সম্ভব হয়নি। থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।

ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্ত একজন শিক্ষক কেন্দ্রের কোনো দায়িত্ব ছিলেন না। তারপরও তিনি কেন্দ্রে এসে প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করেছেন। অন্য শিক্ষকেরা এই কাজে সহায়তা করেছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে এক ইলিশ বিক্রি হলো ১৩ হাজার টাকায়

কিছুদিন ধরে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে খুব কমসংখ্যক ইলিশ ধরা পড়ছে। যার কারণে হতাশ স্থানীয় জেলেরা। তবে ইলিশ সরবরাহ কম থাকলেও জেলেরা বড় আকারের ইলিশ পাচ্ছেন।

সোমবার (২৩ জুন) চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে জেলেদের জালে ধরা পড়ে আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ। যা পাইকারি আড়তে নিলামে তুলে বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজার ১৫০ টাকায়।

সকালে ইলিশ ঘাটে উত্তম দাসের আড়তে মেঘনা নদীতে ধরা পড়া আড়াই কেজি ওজনের ইলিশটি নিয়ে আসা হয়। সেখানে নিলামে বিক্রির ডাকে অন্তত ১৫ ব্যবসায়ী অংশ নেন। পরে ১৩ হাজার ১৫০ টাকায় কিনে নেন নবীর হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ী নবীর হোসেন জানান, জুন মাস থেকে জেলেরা বড় আকারের ইলিশ পাচ্ছেন। যা আগে দেখা যায়নি। কিছুদিন আগেও দুই কেজি ৪৮০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ নিলামে ১৩ হাজার ৩৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটিও তিনি কিনেছেন।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার জানান, ইলিশের সরবরাহ একেবারে নেই। দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আসে না। যা আছে স্থানীয় নদীর ইলিশ। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি বড় আকারের ইলিশ জেলেরা ঘাটে নিয়ে আসেন।

ঢাকা/জয়/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোরবানির সময় ট্যানারিতে আসা ৯৮ শতাংশ কাঁচা চামড়া দাগযুক্ত ছিল: সিপিডির গবেষণা
  • ইসরায়েলে ৮ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
  • চাঁদপুরে এক ইলিশ বিক্রি হলো ১৩ হাজার টাকায়
  • এইচএসসি পরীক্ষার কক্ষে যে ৮টি টিপস কাজে দেবে
  • কুমিল্লায় চণ্ডীমূড়া মন্দিরের সামনে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা
  • এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যে ১০ বিশেষ নির্দেশনা
  • এইচএসসি পরীক্ষা: দেখে নাও নম্বর বণ্টন ও সময় বিভাজন
  • রূপগঞ্জে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
  • অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড
  • ফরিদপুরে জাল নিবন্ধনে বাল্যবিবাহ, কনের মা ও কাজির জরিমানা