ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুইটির কয়েকটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি। 

বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়- ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর ও শিয়ালকোট বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্দ করা হয়েছে। 

পাকিস্তানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের সর্বশেষ তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে অনুরোধ করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ভারত বিমান হামলা চালানোর পর, দেশটির আকাশসীমা ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল, কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা আবার চালু করা হয়।

অন্যদিকে ভারতের উত্তরাঞ্চলের কমপক্ষে ২১টি বিমানবন্দর আগামী ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। বন্ধ রাখা বিমানবন্দরগুলো ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মির ছাড়াও পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাট রাজ্যের বলে জানা গেছে।

বুধবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর আগামী ১০ মে পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে সামরিক অভিযান শুরুর পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

২০১৪, ২০১৮২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি গঠন ক‌রে‌ছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে সভাপতি করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপন), জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ তিনটি নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে সাজানো প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে এসব নির্বাচন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এতে দেশের আইনের শাসন গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার বিপণ্ন হয়েছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দেশে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ফ্যাসিবাদ এবং কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনের আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এ লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ