বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদী খনন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও এম সাখাওয়াত হোসেন।

ফাওজুল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত নৌ পরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।

তারা শুক্রবার মৌলভীরহাট খেয়াঘাট এলাকায় নদী খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে এতদিন দেশে লুটপাট হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। এখন সময় এসেছে প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করার।

অন্য প্রশ্নের জবাবে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি। তাই জনকল্যাণে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বরিশালের মীরগঞ্জ এলাকায় বহুল প্রতীক্ষিত একটি সেতুর নির্মাণকাজ চলমান। সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলে স্থানীয় জনগণ উপকৃত হবেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছয়টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দু’জন উপদেষ্টা গতকাল হিজলা সফর করেন। সকাল ১০টায় তারা হিজলার পুরাতন লঞ্চঘাট এবং পরিত্যক্ত মৌলভীরহাট লঞ্চঘাট এলাকা এবং খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। একই দিন বিকেল ৩টায় দুই উপদেষ্টা মীরগঞ্জ সেতুর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, উপদেষ্টারা শনিবার সকাল ১০টায় বরিশাল বিভাগের আওতাধীন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নগরীর সার্কিট হাউসে মতবিনিময় করবেন। বিকেল ৪টায় বরিশাল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, ভূমি কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ২

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ভূমি কর্মকর্তাসহ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমা সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা কাজী মো. ইউসুফ ও অফিস সহায়ক মো. মনিরুজ্জামান।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের এ দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমার দৃষ্টিগোচর হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৭ মে দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে জাকিয়া সরওয়ার লিমা সমকালকে বলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী মো. ইউসুফ ও মো. মনিরুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একটি ভিডিও চিত্রে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ