ফতুল্লার শিহারচর লালখাঁ এলাকার কিশোর গ্যাং ও কিশোর গ্যাং লিডার সহ সকল ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের সহযোগীতা চেয়েছেন এলাকাবাসী।

অপরাধ দমন করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ওসির সাথে মত বিনিময় করেন এলাকার সর্বস্তরের জনগন। তবে ওসি শরিফুল ইসলাম অপরাধী কোন প্রকার ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দেন।

শুক্রবার (৯ মে) রাত ৮টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলামের রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এদিকে লালখাঁবাসী গুটি কয়েকজন অপরাধীর কাছে জিম্মি হয়ে আছে। অপরাধীরা কেউ নেতার শেল্টার চলে আবার কিছু অপরাধী নেতা আত্মীয় হওয়ার কারণে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পায় না বলে ওসির কাছে এমন অভিযোগ করেন।

লালখাঁ এলাকায় গত কয়েক মাসে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যা বুজানো যাবে না। আর মাদক ব্যবসা, ছিনতাই এবং ব্লাকমেইলার প্রতিটি মোড়ে বেড়ে উঠেছে। লালখাঁ সহ পিটিআই রোড এলাকায় ওপেন মাদক ব্যবসা ও ছিনতাই হয়।

বিশেষ করে অপরাধীদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত পিটিআই ভবনের সামনে। তারা রাত ১১ টার পর গার্মেন্ট শ্রমিকদের আটক করে বেতনের টাকা মোবাইল রেখে দিচ্ছে। এতো অপরাধ হলেও তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। 

মত-বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন লালখাঁর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তৈয়বুর রহমান, আবুল হোসেন, ফারুক মাদবর সহ কয়েকজন। 

এসময় ওসি শরিফুল ইসলাম এলাকাবাসীকে বলেন, অপরাধীরা যত বড় ক্ষমতাশালী হউক না কেন কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারীদের তালিকা তৈরি করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।

এছাড়াও অপরাধ দমনে প্রতিদিন অভিযান চালানো হবে। অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহবান করেন তিনি। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপর ধ অপর ধ দ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে

প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।

সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জা​দুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।

আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।

মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।

একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ