পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আক্কেল আলী (৫৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতোলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত আক্কেল আলী একই গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোনাতোলা গ্রামের সালাম মেম্বার এবং আলী আজগরের পক্ষের লোকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।  উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্বের হত্যা ও লুটপাটের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

আরো পড়ুন:

খুলনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

শুক্রবার দুপুরে ওইসব ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আলী আজগর পক্ষের আক্কেল আলী মাথায় লাঠির আঘাত পেয়ে মারা যান। সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

নাসিরনগর থানার ওসি মোহাম্মদ খাইরুল আলম বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আক্কেল আলী নামে একজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত আহত

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও কবিরহাট উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের এক কর্মকর্তাসহ দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি হলেন মেঘনা গ্রুপের (ফ্রেশ) আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ার (৪৫)। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আবদুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে। নিহত অপরজন হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হায়দার (৫২)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পশ্চিম মাইজদী এলাকায় মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী সড়কের নাহার কটেজের মোড়ে মোটরসাইকেল আরোহী মেঘনা গ্রুপের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ারকে পেছন থেকে চাপা দেয় একটি পণ্যবাহী গাড়ি। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ওই গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে সুধারাম থানার পুলিশ গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে এবং গাড়িটি আটক করে।

সুধারাম থানার উপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কের মোড় ঘুরতে গিয়ে সম্ভবত পণ্যবাহী গাড়িটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল থেকে আরোহী গোলাম ছারওয়ার ছিটকে গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে যান। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অপর দিকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবিরহাটের গ্রামের বাড়ি থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস করানোর জন্য জেলা শহরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বেলাল হায়দার (৫২) নামের এক ব্যক্তি। পথে সুন্দলপুর ইউনিয়নের হাতাইল্লা পোল নামের স্থানে বিপরীত দিক হতে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে বেলালকে বহনকারী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর বেলাল হায়দারকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বেলালের স্ত্রী, অটোরিকশার চালক, প্রাইভেট কারের চালক, আরোহীসহ কমপক্ষে আরও পাঁচজন। তাঁরা জেলা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে কবিরহাট থানার পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ