ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে আক্তার খন্দকার নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবীনগর-রাধিকা সড়কের কনিকাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আক্তার খন্দকার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের হাসান মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি কনিকাড়া এলাকায় পৌঁছালে নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পথে  মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আক্তার খন্দকার মারা যান। দুর্ঘটনাকালে দুই বাহনে থাকা আরো ৫ আরোহী আহত হন। আহতদেরকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনকদের ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/পলাশ/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, বাবা ভাই-বোনসহ নিহত ৫ 

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলায় দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে একজন নারী নিহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদীখান উপজেলার নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চারজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। তার নাম আফসানা (২০)। অপর নিহতরা হলেন তার বাবা সামাদ ফকির (৬০) ও ভাই হাফেজ বিল্লাল (৪০)। তাদের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ তুতখালী গ্রামে। অ্যাম্বুলেন্সের চালকও দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তার নাম মাহাবুব সরদার (২৮)। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়ে যায়। নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে চাকা সচল করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি থামানো ছিল। পেছন থেকে ঢাকাগামী গোল্ডেন পরিবহন যাত্রীবাহী বাসটি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ধাক্কা দেয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স আরোহীদের চাপা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় আহত হন দুই নারী ও তিন পুরুষ।

খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত চারজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আরও চারজন। তারা হলেন সামাদ ফকির, হাফেজ বিল্লাল, আফসানা, মাহাবুব সরদার। 

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ জানান, ঘটনাস্থলে নিহত একজনের মরদেহ হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে হাসারা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ধারণা করছি, অ্যাম্বুলেন্সটির যাত্রীরা পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাসটি ওই সময় অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি থানায় জব্দ করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, বাবা ভাই-বোনসহ নিহত ৫ 
  • ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৫