নবীনগরে অটোরিকশা-মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে নিহত ১
Published: 10th, May 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে আক্তার খন্দকার নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবীনগর-রাধিকা সড়কের কনিকাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্তার খন্দকার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের হাসান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি কনিকাড়া এলাকায় পৌঁছালে নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আক্তার খন্দকার মারা যান। দুর্ঘটনাকালে দুই বাহনে থাকা আরো ৫ আরোহী আহত হন। আহতদেরকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনকদের ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/পলাশ/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ