ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত গোটা এশিয়া মহাদেশ। দুই দেশের যুদ্ধাবস্থা উত্তাপ ছড়িয়েছে সবখানে। যে উত্তাপ দেখা যাচ্ছে শোবিজ অঙ্গনেও। পাকিস্তানে হামলা করা ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে সমর্থন ও প্রশংসা জানিয়ে নানা মন্তব্যও করছেন ভারতের তারকারা।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা যুদ্ধের মধ্যে পরিচালক উত্তম মাহেশ্বরী ও নিতিন কুমার গুপ্ত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সিনেমা তৈরির ঘোষণা করে ফেলেছেন। এমনকি সিনেমার একটি এআই নির্মিত পোস্টারও প্রকাশ করেন নির্মাতারা! এই সিনেমার প্রযোজনা করবেন নিকি ভিকি ভাগনানি ফিল্মস ও দ্য কনটেন্ট ডিজাইনার।

পোস্টারে যুদ্ধের পরিস্থিতির ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ানকে হাতে বন্দুক ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পোস্টারে সিনেমার টাইটেল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আগে ‘ভারত মাতা কি জয়’ লেখা হয়েছে।

          View this post on Instagram                      

A post shared by Viral Bhayani (@viralbhayani)

 

ভারতীয় গণমাধ্যম একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১৫টি প্রযোজনা সংস্থা ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সিনেমার নিবন্ধন করেছে। কিন্তু এই টাইটেলটি আসলে কে পাবে তার উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।

তবে এই পোস্টার প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করছে অনেকে। কারো মতে, দারুণ হয়েছে পোস্টারটি। আবার কেউ বললেছেন, ‘দেশ এখন যুদ্ধে আর এই সুযোগে এরা টাকা কামানোর ধান্দায় ব্যস্ত।’ কেউ বা বলছেন, ‘এটা নির্লজ্জতার সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে।’

সেলিব্রিটি ফটোগ্রাফার মানব মঙ্গলানি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সিনেমার পোস্টারটি শেয়ার করেছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পর তা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র: এনডিটিভি ও হিন্দুস্থান টাইমস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসকদের নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল ড্যাব

চিকিৎসকদের উদ্দেশ করে আজ শনিবার এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। তারা উপদেষ্টার বক্তব্যকে চিকিৎসকদের জন্য ‘অবমাননাকর’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

প্রসঙ্গত, আজ সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বিপিএইচসিডিওএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল চিকিৎসকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘পৃথিবীতে কোন জায়গায় হসপিটালে, প্রাইভেট ক্লিনিকে সব সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট টাইম থাকে ডাক্তারের?...আপনারা ওষুধ কোম্পানির দালাল? এ দেশে বড় বড় হসপিটালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যস্বত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের?।’

ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদ এবং মহাসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আইন উপদেষ্টাকে জনস্বার্থে তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করার অনুরোধ জানানো হয়।

বিবৃতিতে ড্যাবের নেতারা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হয়েও চিকিৎসকদের নিয়ে এমন অবমাননাকর বক্তব্য চিকিৎসকদের নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। এমন বক্তব্য স্বাস্থ্যসেবার প্রতি জনসাধারণের আস্থাকে সংকুচিত করে। ন্যায্য বেতন-ভাতা না পাওয়া সত্ত্বেও প্রত্যন্ত গ্রামীণ ক্লিনিক থেকে শহরের ব্যস্ততম হাসপাতালসমূহে বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছেন। কোভিড-১৯ মহামারি থেকে শুরু করে ডেঙ্গুর প্রকোপ পর্যন্ত নানা স্বাস্থ্য সংকটে বহু চিকিৎসক জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। কেউ কেউ প্রাণও হারিয়েছেন। তবুও চিকিৎসকরা তাঁদের সেবা ও মানবিকতার পথ থেকে পিছপা হননি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে চিকিৎসকেরা আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। গণ-অভ্যুত্থানে চিকিৎসকদের এক বিশাল অবদান থাকার পরও সরকারের একজন উপদেষ্টা কর্তৃক চিকিৎসকদেরকে ‘অপমান করা এক বিরাট অন্যায়।’

গঠনমূলক সমালোচনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সৌন্দর্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে ড্যাব নেতারা বলেন, ‘তবে সেটি হতে হবে তথ্যনির্ভর ও সম্মানজনক। পুরো চিকিৎসক সমাজকে নিয়ে অযথা বদনাম করা হাজারো সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসকের আত্মত্যাগকে অপমানিত করে, চিকিৎসক-রোগীর সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সর্বোপরি, মেধাবী তরুণদেরকে চিকিৎসাসেবার মতো মহান পেশায় আসার আগ্রহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।’

এ বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা জনাব আসিফ নজরুলকে তাঁর বক্তব্য পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাই এবং জনস্বার্থে একটি ব্যাখ্যা বা দুঃখ প্রকাশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ