নবীনগরে সিএনজি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
Published: 10th, May 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় নবীনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-রাধিকা সড়কে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের কবরস্থানের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আক্তার খন্দকার (৪২), নবীনগর পূর্ব ইউপির সদস্য বিল্লাল মিয়া (৪৭) ও লাউর ফতেহপুর ইউপির আহম্মদপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৬০)। আহতদের নবীনগর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত অন্যরা হলেন, মো.
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার কনিকাড়া এলাকায় পৌঁছালে নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পথে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আক্তার খন্দকার নিহত হন এবং পরে কুমিল্লায় নেওয়ার পর আরো দুজন নিহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদেরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আক্তার খন্দকার তার অসুস্থ স্ত্রীকে অপারেশনের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শুক্রবার সকালে নিয়ে যান। অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন শ্যালক ও নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. বিল্লাল মিয়া (৫৫) ও তার ভাই সিয়াম (২২)। বিল্লাল মেম্বারকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন, আমরা এই রোডে দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। গতকাল শনিবার থেকে গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স, অনভিজ্ঞ ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে, এবং মোটরসাইকেল লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেটবিহীন বাইক চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত ব র হ মণব ড় য় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ–আহতদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: চাকসু ভিপি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ভিপি মো. ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেছেন, “এ বিজয় চাকসু বা আমার নয়; এ বিজয় তাদের, যারা এই দেশের পুনর্গঠনে আহত হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন। এই আত্মত্যাগ তখনই সফল হবে, যখন আমরা দেশকে সত্যিকারের সুন্দর, সঠিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। তরুণ সমাজকে সেই সোনালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে বাগাতিপাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা সর্বস্তরের ছাত্র–জনতার ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
রাবিতে শিবিরের নবীনবরণে ডাকসুসহ ৩ ছাত্র সংসদের ভিপি
‘সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত’
রনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি আবারো ফ্যাসিবাদী রূপে ফিরে আসতে চায়, তবে তাদেরও ফ্যাসিবাদী কায়দায় প্রতিহত করা হবে। দেশের জনগণ আর কখনো তাদের গ্রহণ করবে না। গুম, খুন, হত্যা, দুর্নীতি—এসব করে তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
অতীতে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় নেই কেন? জেলার ছাত্র–ছাত্রীদের ৭০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে লেখাপড়া করতে হয়—এটাই বা কেন?”
বাগাতিপাড়ার অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই উপজেলায় তিনটি রেলস্টেশন থাকার পরো আন্তঃনগর কোনো ট্রেন থামে না। ঢাকায় যেতে সবাইকে নাটোর স্টেশনে ছুটতে হয়—এটা জনগণের প্রতি অবিচার।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও জেলা আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন লালপুর–বাগাতিপাড়া–১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
বাগাতিপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা এ কে এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জাকির হোসেন মাস্টারের সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য দেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি ও বড়াইগ্রাম–গুরুদাসপুর–৪ আসনে এমপি প্রার্থী আব্দুল হাকিম, সহকারী সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেল, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. জাহিদ হাসান প্রমুখ।
ঢাকা/আরিফুল/মেহেদী