লা লিগার চলতি মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। ইতোমধ্যে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়েছে। এই অর্ধে ৬টি গোল হয়েছে। তার মধ্যে বার্সেলোনা করেছে ৪টি ও রিয়াল মাদ্রিদ করেছে ২টি।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পেকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক ভয়েচেখ শ্টেন্সনি। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে গোল করে এমবাপ্পে এগিয়ে নেন দলকে। ১৪ মিনিটের মাথায় পাল্ট আক্রমণে উঠে ভিনিসিউস জুনিয়রের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে রিয়ালকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে।
এরপর অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। ১৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে ফেরান তোরেসের বাড়ানো বলে হেড নিয়ে জালে জড়ান এরিক গার্সিয়া। ৩২ মিনিটের মাথায় তোরেসের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করে সমতা ফেরান লামিনে ইয়ামাল।
আরো পড়ুন:
স্টেগেনের ফেরার ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জিতল ‘কামব্যাক কিং’ বার্সা
রেফারিকে বরফ ছুঁড়ে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার
৩৪ মিনিটের মাথায় পেদ্রির বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন দারুণ ফর্মে থাকা রাফিনহা। ৪৫ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে ৪-২ ব্যবধানে বার্সাকে এগিয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান। তাতে এই ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
নায়ক থেকে খলনায়ক, জাসাস থেকে দূরে: মিশার স্বীকারোক্তি
ঢাকাই সিনেমার দাপুটে খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। আট শতাধিক চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে এই অভিনেতার।
শুধু অভিনয় নয়, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব দাপটের সঙ্গে দিচ্ছেন। দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর এর আগে সাধারণ সম্পাদকসহ সমিতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর সদস্য ছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মিশা সওদাগর বলেন, “আপনারা ভালো করেই জানেন, আমি ঠিক সেভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। কারণ রাজনীতি করতে অনেক যোগ্যতা লাগে, যেটা আমার নেই। তবে হ্যাঁ, একসময় আমি জাসাসে ছিলাম, কিন্তু পরে সময় দিতে পারব না বলে সরে দাঁড়িয়েছি। এরপর আর কখনো রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হইনি।”
আরো পড়ুন:
মিশার ভাষ্য, তিনবারই হেরেছেন নিপুণ!
নিপুণের দুর্গে ডিপজল-মিশার হানা
সম্প্রতি শিল্পীদের নামে দায়ের হওয়া মামলার প্রসঙ্গ টেনে মিশা সওদাগর বলেন, “সাম্প্রতিক মামলার বিষয়টি নিয়ে আমি সাধারণ মানুষ হিসেবে বলতে চাই, অন্যায় করলে অবশ্যই তাকে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হোক। তবে কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়।”
মিশা সওদাগর ১৯৮৬ সালে বিএফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। অভিষেক সিনেমায় নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। পরবর্তীতে নিজেকে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং দর্শকদের কাছে নতুনভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত