প্রথমবার হতে যাচ্ছে সিভিল সার্জন সম্মেলন। দেশের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় সম্পর্কে শুনতে চাইবেন নীতিনির্ধারকেরা।

আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার এ সম্মেলন হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সম্মেলনের কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে। কার্য অধিবেশনগুলো স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা দিকনির্দেশনা দেবেন।

জানা গেছে, সম্মেলনে ১৩টি মন্ত্রণালয়ের ১১টি কার্য অধিবেশন হবে। অধিবেশনগুলোতে খোলামেলা আলোচনা হবে স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা ও উন্নয়ন নিয়ে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতি বছর ৬৪ জেলা প্রশাসকদের নিয়ে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলার নানা বিষয় উঠে আসে। এবার সেই আদলে ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসকদের নিয়ে প্রথমবার সিভিল সার্জন সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনের আগে সেবার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিভিল সার্জনরা তাদের মতামত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সামনে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে দু’জন সিভিল সার্জন বক্তব্য রাখবেন। সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে করতে একটি কোর কমিটি এবং সাতটি উপকমিটি করা হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, এটি ছোট পরিসরে হলেও মূলত ডিসি সম্মেলনের থিম থেকে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এটি করার জন্য বলেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে মানুষের অসন্তোষ ও নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। এতে স্বাস্থ্য খাত ঢেলে সাজানোর নানা কৌশল নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে জেলার স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার পথ সুগম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, টিকা কার্যক্রম, জনবল সংকট, অবকাঠামোগত সমস্যা, বাজেট বরাদ্দের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে সিভিল সার্জনদের মতামত উত্থাপন হবে। একাধিক সিভিল সার্জন উপজেলার স্বাস্থ্য সংস্কার, চিকিৎসক সংকট, পরিবহন তথা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর প্রস্তাবও উঠবে সম্মেলনে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ভ ল স র জন কর মকর ত উপদ ষ ট সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

ছক্কার সব রেকর্ড কি ভাঙবে এবার, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও

টি-টোয়েন্টি ছক্কার খেলা। এতটাই যে আফগানিস্তানের প্রধান টি-টোয়েন্টি লিগের নাম শ্পাগিজা ক্রিকেট লিগ বা ছক্কা ক্রিকেট লিগ। ছক্কার সেই ক্রিকেটে দিন দিন ছক্কার পরিমাণ শুধু বাড়ছেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই গত বছর মোট ছক্কার রেকর্ড হয়েছে। তাতে অবশ্য দল ও ম্যাচের সংখ্যারও অবদান আছে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ৫,৯৯৮টি ছক্কা দেখেছিল।

২০২৫ সালের দুই-তৃতীয়াংশ কাটতে না কাটতেই হুমকির মুখে পড়ে গেছে সেই রেকর্ড। এ বছর এ পর্যন্ত ৩,৬৫৭টি ছক্কা দেখে ফেলেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। বছরের শেষ পাঁচ মাসে আর ২,৩৪৩টি ছক্কা হলেই প্রথমবার ৬ হাজার ছক্কার মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।

এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কা

গত বছর ৬৫৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল। এবার ১১ আগস্ট পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে ৩২৪টি। এবার ম্যাচপ্রতি যে পরিমাণ ছক্কা হচ্ছে, রেকর্ড ভাঙতে ৬৫৪টি ম্যাচের দরকার হবে না। এবার প্রতি ম্যাচে গড়ে ছক্কা হয়েছে ১১.২৯টি। ম্যাচপ্রতি ছক্কায় ২০২৫–এর চেয়ে ওপরে থাকে শুধু ২০১৮ সাল। সে বছর ম্যাচপ্রতি ছক্কা ছিল ১১.৯৪, মোট ছক্কা ছিল ৯৬৭টি। সে বছর অবশ্য ম্যাচ হয়েছিল মোটে ৮১টি।

ম্যাচপ্রতি ছক্কায় শীর্ষ পাঁচ বছর

ছক্কার প্রভাব পড়েছে স্কোরকার্ডেও। এ বছর ব্যাটসম্যানদের মোট রানের ২৬.২৯ শতাংশই এসেছে ছক্কায়। অর্থাৎ, চার ভাগের এক ভাগ রানই এসেছে ছক্কা থেকে। এবারই প্রথমবার শতকরা হিসাবে ছক্কার অবদান ২৫ ছাড়াল। আগের রেকর্ডটা ছিল ২৪.৬৮, ২০১৮ সালের ঘটনা সেটি।

এ বছর ৭৪টি ছক্কা মেরে সূর্যকুমার যাদবের এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড ভেঙেছেন অস্ট্রিয়ার করণবীর সিং

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রেভিসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে র‌্যাঙ্কিংয়ে রেকর্ড লাফ
  • ছক্কার সব রেকর্ড কি ভাঙবে এবার, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও