মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোয় ঘরের মাঠ স্তাদিও অলিম্পিকোয় রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। লিগে ৩ ম্যাচ হাতে থাকতে ৭ পয়েন্টের লিড নেওয়ায় লা লিগার শিরোপা উৎসবও করে ফেলেছে কাতালানরা। 

রিয়ালের বিপক্ষে এই ম্যাচে অনেকগুলো রেকর্ডও হয়েছে। যেমন- প্রথমবার মৌসুমের চার ক্লাসিকোতেই জয় পেয়েছে বার্সা। বার্সার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেও হারের স্বাদ পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। 

২ গোলের লিড নিয়েও হার: ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ১৪ মিনিটে ২-০ গোলের লিড নেয়। এরপরও ম্যাচটি ৪-৩ গোলে হেরেছে। যা এল ক্লাসিকোর একটি রেকর্ড। এর আগে ক্লাসিকোয় এমনটা ১৯৫০ ও ১৯৫৯ সালে দু’বার ঘটেছিল। 

ক্লাসিকোয় বার্সা ৪-০ রিয়াল: এল ক্লাসিকোয় এক মৌসুমে চার ম্যাচেই জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। হানসি ফ্লিকের আগে রিয়ালকে টানা চার ম্যাচে হারিয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। তবে তিনি ২০০৮-১০ সালের মধ্যে হারিয়েছিলেন। ফ্লিক এবার এক মৌসুমেই ওই রেকর্ড গড়লেন। 

১৮’র আগে লামিনের ১২: বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে লামিনে ইয়ামাল লা লিগায় ১২ গোল করেছেন। পাবলো পমবো ও আনসু ফাতির রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। 

৪ ম্যাচে রিয়ালের ১৬ গোল হজম: বার্সা মৌসুমের সবকটি এল ক্লাসিকোয় শুধু জেতেনি বরং বিধ্বস্ত করে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। ৪ ম্যাচে লস ব্লাঙ্কোসদের জালে ১৬ গোল পাঠিয়েছেন রাফিনিয়ারা। যা রিয়ালের বিপক্ষে যেকোন দলের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল দেওয়ার রেকর্ড। 

৪ গোলের রেকর্ড: চলতি মৌসুমে বার্সা এখন পর্যন্ত ১৩বার প্রতিপক্ষের জালে অন্তত ৪টি করে গোল দিয়েছে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশি ১৭বার অন্তত ৪ গোল দেওয়ার কীর্তি রয়েছে।

৩০ বছর পর এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক: বার্সার বিপক্ষে ৩০ বছর পর লা লিগা ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের কোন ফুটবলার হ্যাটট্রিক করতে পারলেন। এর আগে ১৯৯৫ সালে ইভান জামোরানো ওই কীর্তি গড়েছিলেন।

অ্যাওয়ে হ্যাটট্রিকেও হার: বার্সার মাঠে গিয়ে তৃতীয়বারের মতো রিয়ালের কেউ হ্যাটট্রিক করলেন। এর আগে ফ্রেঞ্চ ফুসকাস ও করিম বেনজেমা হ্যাটট্রিক করেছিলেন। বেনজেমা কোপা দেল রে’তে ২০২৩ সালে গড়েছিলেন ওই কীর্তি। তবে বার্সার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেও পরাজিত দলে থাকা প্রথম ফুটবলার এমবাপ্পে।

ক্লাসিকোয় সমতাবিহীন ১৮: এল ক্লাসিকোয় কোন দল সমতার জন্য খেলে না। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যায় জয়ের জন্য। যার ফলস্বরূপ ১৮ এল ক্লাসিকো ম্যাচে কোন ড্র দেখা যায়নি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক ল স ক এল ক ল স ক য় র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করেছে ইসরায়েল 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ আবারও স্থগিত করেছে ইসরায়েল। এর ফলে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রী হামাস সদস্যদের হাতে চলে যাচ্ছে, এমন অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী যাতে হামাসের হাতে না যায়, সে জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি পরিকল্পনা করবে। সেটি না হওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো ত্রাণ ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল।

এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল ইসরায়েল। চার সপ্তাহ ধরে সেখানে ত্রাণ বিতরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা ‘হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)। সংস্থাটির ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ত্রাণ আনতে যাওয়ার পথে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৪৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বানিয়ে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনাহারে থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি।

মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গভির গাজায় ত্রাণ বিতরণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর আগে ইসরায়েলের সরকার দাবি করে, গাজায় সরবরাহ করা পণ্য ও খাদ্যের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গাজার প্রভাবশালী কিছু পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি কমিটি গতকাল এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানিয়েছে, এ ধরনের দাবি ভিত্তিহীন। এটি গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অজুহাত মাত্র।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, গাজা এখন গণহত্যার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান সহযোগিতা চুক্তি অবিলম্বে স্থগিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ