রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউট ছেড়ে এবার ব্রাজিলের ডাগআউটে বসতে চলেছেন ইতালির অভিজ্ঞ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। দ্য অ্যাথলেটিকের খ্যাতনামা সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টেইন নিশ্চিত করেছেন, আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং চলতি মাসের ২৬ মে থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দায়িত্বে যোগ দেবেন।

৬৫ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি কোচ রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগার চলতি মৌসুমের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত থাকবেন। ২৫ মে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লিগের শেষ ম্যাচ খেলে পরদিনই সেলেসওদের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।

রোববার এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার কাছে ৪-৩ গোলে হেরে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এই পরাজয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আনচেলত্তির নতুন দায়িত্বের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত হলো।

আরো পড়ুন:

ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির সমঝোতা

জুনেই ব্রাজিলের ডাগআউটে আনচেলত্তি

২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ব্রাজিলের কোচ তিতে পদত্যাগ করলে সেই থেকেই আনচেলত্তিকে নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। যদিও শুরুতে তাকে দলে ভেড়াতে পারেনি ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। তখন অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয় ডরিভাল জুনিয়রকে, যিনি চলতি বছর দায়িত্ব হারান একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে।

এরপর ফের আনচেলত্তিকে এক নম্বর লক্ষ্য হিসেবে ধরে এগোয় ব্রাজিল। আলোচনার দায়িত্বে ছিলেন সিবিএফের প্রতিনিধি দিয়েগো ফার্নান্দেস। কয়েক দফা আলোচনা এবং কিছু জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে সবকিছুই গুছিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আনচেলত্তিও স্বাক্ষর করেছেন চূড়ান্ত চুক্তিতে।

লা লিগায় রিয়ালের শেষ ম্যাচের পর আনচেলত্তিকে যথাযোগ্য বিদায় জানাবে ক্লাবটি। যেখানে তিনি কেবল একজন সফল কোচই নন বরং এক কিংবদন্তি। তার হাত ধরেই রিয়াল জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা।

আনচেলত্তির বিদায়ের পর রিয়ালের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাবেক তারকা মিডফিল্ডার জাবি আলোনসো। তার সঙ্গে ইতোমধ্যেই পূর্ণাঙ্গ সমঝোতায় পৌঁছেছে ক্লাবটি।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের বেকার তরুণের গল্প

লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের বেকার তরুণের গল্প নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করেছেন অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। অভিনয়ের পাশাপাশি দেশে একাধিক নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। কিন্তু এবার ছিল তাঁর ক্যারিয়ারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। কারণ, শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁকে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানাতে হয়েছে।

মিলন বলেন, ‘শিক্ষার্থী হিসেবে কাজের একটা আলাদা পরিসর থাকে। চাইলেও আমি অনেক প্রস্তুতি ও বড় আয়োজনে সেটা করতে পারব না। আমাকে অন্যদের মতোই স্বল্প আয়োজন ও বাজেটে একটা কাজ কতটা ভালোভাবে তুলে ধরতে পারি, সেটাই এখানে মুখ্য। এ জন্য আমাকে আগেই চিত্রনাট্য ও পরিকল্পনা তৈরি করে জমা দিতে হয়েছে। পরে সেটা নির্মাণ করে জমা দিতে হয়। সিনেমাটি কলেজের পাশাপাশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবগুলোয় প্রদর্শিত হয়।’

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে মিলন। ছবি: ফেসবুক

সম্পর্কিত নিবন্ধ