সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস মো. রাশেদুল কাউসার ভূইয়া এবং তার স্ত্রী মোসা. লুৎফুন নাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এদিকে এস আলম গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা এবং সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন-এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব মো.

আকিজ উদ্দিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম, মো. আলমাছ আলী, বেদার উল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দিন, রোখসানা খাতুন, রবিয়া খাতুন, নাছির উদ্দিন, মুহাম্মদ সাইফু উদ্দিন, মো. গোলামুর রহমান, এস এম জামাল উদ্দিন, হাসমত আরা বেগম ও মুহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাশেদুল কাউসার ভূইয়া এবং লুৎফুন নাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান তাদের।

আবেদনে বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রীর এপিএস মো. রাশেদুল কাউসার ভূইয়ার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকা, ভারতে গরু পাচার করা এবং টেন্ডার ও বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। 

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া সপরিবারে দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন বন্ধ করা প্রয়োজন।

এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) তাহাসিন  মুনাবীল হক।

আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংগঠনের অভিযোগের অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এস আলম গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনামে ঋণ ও বিনিয়োগ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং অপরাধ সংগঠন করে বিদেশে টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে চলে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হবে। অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তার বিদেশ গমন বন্ধ করা আবশ্যক। 

ঢাকা/এম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস আলম গ র প র র দ শত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস মো. রাশেদুল কাউসার ভূইয়া এবং তার স্ত্রী মোসা. লুৎফুন নাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এদিকে এস আলম গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা এবং সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন-এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব মো. আকিজ উদ্দিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম, মো. আলমাছ আলী, বেদার উল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দিন, রোখসানা খাতুন, রবিয়া খাতুন, নাছির উদ্দিন, মুহাম্মদ সাইফু উদ্দিন, মো. গোলামুর রহমান, এস এম জামাল উদ্দিন, হাসমত আরা বেগম ও মুহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাশেদুল কাউসার ভূইয়া এবং লুৎফুন নাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান তাদের।

আবেদনে বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রীর এপিএস মো. রাশেদুল কাউসার ভূইয়ার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকা, ভারতে গরু পাচার করা এবং টেন্ডার ও বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। 

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া সপরিবারে দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন বন্ধ করা প্রয়োজন।

এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) তাহাসিন  মুনাবীল হক।

আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংগঠনের অভিযোগের অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এস আলম গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনামে ঋণ ও বিনিয়োগ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং অপরাধ সংগঠন করে বিদেশে টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে চলে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হবে। অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তার বিদেশ গমন বন্ধ করা আবশ্যক। 

ঢাকা/এম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ