রেড কার্পেটের পোশাক বদলাতে বাধ্য হলেন হ্যালি বেরি
Published: 14th, May 2025 GMT
এ বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি প্রেস কনফারেন্সে হ্যালি বেরি জানিয়েছেন, নতুন রেড কার্পেট নিয়মের কারণে তাকে শেষ মুহূর্তে নিজের পোশাক বদলাতে হয়েছে। উৎসব শুরুর ঠিক আগে আয়োজকেরা ঘোষণা দিয়েছেন যে, এবার থেকে রেড কার্পেটে নগ্নতা এবং অতিরিক্ত আকারের পোশাক, যেমন লম্বা ট্রেন যুক্ত গাউন, নিষিদ্ধ।
বেরি বলেন “আমি গুপ্তার এক অসাধারণ পোশাক পরার পরিকল্পনা করেছিলাম, কিন্তু সেটার ট্রেন এত বড় যে নিয়ম লঙ্ঘন হয়ে যেত। আমি নিয়ম ভাঙতে চাই না। নগ্নতা নিষিদ্ধ করাটাও সম্ভবত এক ভালো নিয়ম।
কেন এই পরিবর্তন?
১২ মে, সোমবার আয়োজকদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় যেখানে বলা হয়—নতুন নিয়মগুলো উৎসবের সাংগঠনিক কাঠামো ও ফরাসি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়:
“এই বছর, কান উৎসবের চার্টারে কিছু নিয়ম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যা অনেকদিন ধরেই প্রচলিত ছিল। উদ্দেশ্য সরাসরি পোশাক নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং পুরোপুরি নগ্নতা নিষিদ্ধ করা এবং এমন পোশাক রোধ করা যা অন্য অতিথিদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।”
উৎসব কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বসে পড়া বা রুমে প্রবেশের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে এমন পোশাক পরা অতিথিদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার অধিকার রাখে কর্তৃপক্ষ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।