ঢাবিতে শেষ হলো ষষ্ঠ আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব
Published: 13th, May 2025 GMT
‘বিশ্ব আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ষষ্ঠ আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ঢাবির ‘ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন্স ডিবেটিং ক্লাব’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ বিতর্ক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন্স ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি আসমা সুলতানা লিজার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা।
আরো পড়ুন:
ভর্তিতে বিড়ম্বনা এড়াতে বিশেষ উদ্যোগ ঢাবি প্রশাসনের
প্রতিবাদী জাতীয় সংগীতে উত্তাল টিএসসি
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.
ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন্স ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূরুদ্দীন মুহাম্মাদের সঞ্চালনায় ‘সভ্যতার বিবর্তনে নদী ও ধর্ম’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক ও নদী গবেষক শেখ রোকন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বিতর্ক চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “সমাজকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক চর্চার পরিধি আরো বাড়াতে হবে। নদীর সঙ্গে এ দেশের মানুষের জীবন ও সংস্কৃতির গভীর মিল রয়েছে। নদী, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মিলিতভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
এই বিতর্ক উৎসবে ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি বিতর্ক দল অংশ নেয়। এতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেনারি সায়েন্স অনুষদের বিতর্ক দল চ্যাম্পিয়ন এবং ঢাবির আইন বিভাগের বিতর্ক দল রানার্সআপ হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।