বিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ
Published: 14th, May 2025 GMT
ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ) আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের ৬৭তম রাউন্ডে শিক্ষার্থী ভর্তিতে আবেদন চলছে। আবেদনের সুযোগ আছে আর মাত্র দুই দিন, শেষ আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
এ প্রোগ্রামে নন-আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের স্নাতকধারীরা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে সাড়ে আট মাসের আইটি প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। চাকরির বাজারের সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে আইএসডিবি-বিআইএসইডব্লিউ সব কোর্স পরিচালনা করে। এই প্রোগ্রামের আওতায় কোর্স সম্পন্নকারী ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী দেশে-বিদেশে সফলভাবে কর্মরত আছেন।
আইএসডিবি-বিআইএসইডব্লিউ বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জেদ্দা, সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আইএসডিবি-আইএসইডব্লিউ নিজস্ব অর্থায়নে কর্মমুখী শিক্ষা ও বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন করে থাকে।
এ প্রোগ্রামের আওতায় ১৩টি কোর্সের ওপর স্কলারশিপ দেওয়া হয়। প্রোগ্রামটি ১৯ বছর ধরে চলছে। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য মেধাবী মুসলিম প্রার্থীদের আন্তর্জাতিক স্তরের পেশাদার আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। প্রোগ্রামটি এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ২৭৬ জন আইটি প্রফেশনাল তৈরি করেছে, যাঁরা দেশ এবং বিদেশের ৩ হাজার ২৫৪টির বেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুনইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ওয়াইপিপি প্রোগ্রাম, আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতায় বাড়তি সুযোগ০৩ মে ২০২৫গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—
আইডিবির আইটি স্কলারশিপের সাড়ে আট মাসের এই প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তিতে মোট আসন আছে ১৬৫টি। চলমান রাউন্ডে আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হতে হবে। পূর্ববর্তী রাউন্ডের কোনো কোর্সে যোগদানকৃত প্রার্থী নতুন করে এ কোর্সে আবেদন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়।
ছবি: সংগৃহীত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র উন ড
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৮০০ ক্রীড়াবিদ
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৭৮৫ জন ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। ফিলিস্তিনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
অ্যাসোসিয়েশনের উপপ্রধান সুসান শালাবি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বিভিন্ন গেমসের খেলোয়াড় ও প্রশাসনিক কর্মীরা আছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ গাজায় এবং ২৩ জন পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৩৭ জন ছিলেন ফুটবল খেলোয়াড়, যাদের মধ্যে ১৫ জন পশ্চিম তীরের। খেলোয়াড়দের নিবন্ধন নথি ও গাজা শাখার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংখ্যা হিসাব করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা অনেকের খোঁজে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
ক্রীড়া অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে শালাবি জানান, ইসরায়েলি হামলায় ২৮৮টি ক্রীড়া স্থাপনা আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে স্টেডিয়াম, জিম এবং ক্লাব ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ২১টি পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
তিনি ফিলিস্তিনি খেলাধুলার ওপর ইসরায়েলের পরিকল্পিত হামলা বন্ধের দাবি জানান এবং গাজা ও পশ্চিম তীরের ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া স্থাপনার সুরক্ষার আহ্বান জানান।