প্রস্তুত জেলেনস্কি, পুতিনের উপস্থিতি অনিশ্চিত
Published: 15th, May 2025 GMT
তুরস্কে আয়োজিত রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় কে বা কারা রাশিয়ার পক্ষ থেকে অংশ নেবেন– সেই প্রশ্নের উত্তর গতকাল বুধবারও এড়িয়ে গেছে ক্রেমলিন। মস্কো থেকে এএফপি জানায়, চলমান যুদ্ধের শুরুর দিকে দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কয়েকটি সাক্ষাৎ হলেও এটি হবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর প্রথম সরাসরি আলোচনা। গত সপ্তাহে পুতিন নিজেই এ আলোচনার ডাক দেন।
তবে এ আলোচনায় পুতিন অংশ নেবেন কিনা, কিংবা রাশিয়ার প্রতিনিধি দলে কে কে থাকবেন, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি মস্কো। বুধবার ক্রেমলিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এএফপির প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি দল ১৫ মে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের অপেক্ষায় থাকবে।’ তবে সেই দলে কারা থাকবেন– জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, ‘এখনও প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা আসেনি।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এর আগে ঘোষণা দেন, তিনি তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন এবং সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনায় উপস্থিত থাকলে পুতিনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে বলে ধারণা তাঁর। তুরস্কে যাওয়ার প্রস্তাব ভেবে দেখছেন বলেও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে সিনেটর মার্কো রুবিও উপস্থিত থাকবেন। তিনি শুক্রবার ইস্তাম্বুলে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে আলোচনা শুরুর দিন নিয়েও কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এদিকে গতকাল থেকেই তুরস্কের উপকূলীয় শহর আনতালিয়ায় এক বৈঠকে বসছেন ন্যাটো দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এ আলোচনায় সামরিক ব্যয় বাড়ানোর বিষয় উঠে আসবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এই বৈঠক শেষ হওয়ার পরই রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইতোমধ্যে তারা ১৭তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। এতে রাশিয়ার ‘ছায়া জাহাজ বহর’ এবং যুদ্ধ চালাতে সহায়তাকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া, চলমান আলোচনার প্রস্তুতির মধ্যেই ইউক্রেনের খারকিভ শহরে রাশিয়ার বিমান হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
সিএনএন জানায়, জার্মানির কোলন ও কনস্টান্স শহর এবং সুইজারল্যান্ডের থুরগাউ অঞ্চল থেকে তিন ইউক্রেনীয়কে আটক করেছে পুলিশ, যাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে জার্মানিতে পণ্যবাহী পরিবহনে আগুন লাগানোর পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই ইউক্রেনের ওপর নির্মিত তিনটি তথ্যচিত্র দিয়ে শুরু হয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসব। আয়োজকরা বলছেন, ইউরোপের এই যুদ্ধ নিয়ে শিল্পীদের দায়বদ্ধতা তুলে ধরতেই এই আয়োজন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন ত রস ক
এছাড়াও পড়ুন:
এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে
বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা জুটি হৃতিক রোশন ও সুজান খান। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। এই জুটির দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু সম্পর্কটি বিচ্ছেদে গড়িয়েছে। তবে বন্ধুত্ব টিকে আছে তাদের।
১৪ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করে দুইজন আলাদা হন। ২০১৪ সালে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। তবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখনও রয়েছে। প্রায়ই তাদের সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়।
বলা হয়ে থাকে, তারকাদের বিচ্ছেদ মানেই কোটি কোটি টাকার মামলা। হেভি ওয়েট তারকা হৃতিক রোশনের বেলায় মামলাটা যে অনেক বেশি টাকায় মেটাতে হবে, তাতো বোঝাই যাচ্ছে। হৃতিক-সুজান জুটি বিয়ে যেমন আলোচিত হয়েছিল, তেমনই তাদের বিচ্ছেদ নিয়েও আলোচনায় এসেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছেন, এটিই বলিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ।
আরো পড়ুন:
হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া, ভিডিও ভাইরাল
আলোচনায় হৃতিক-কিয়ারার চুম্বন দৃশ্য
বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘হৃতিক-সুজান জুটির বিচ্ছেদ নিষ্পত্তিতে সুজান ৩৮০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২৭ কোটি টাকা) পেয়েছেন। তবে বলা হচ্ছে, এটিই বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ হিসেবে রেকর্ড গড়ে।’’
উল্লেখ্য, নির্মাতা রাকেশ রোশনের ছেলে হৃতিক আর অভিনেতা সঞ্জয় খানের মেয়ে সুজান দুইজন-দুইজনের শৈশবের বন্ধু। ২০০০ সালে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা দিয়ে হৃতিক যখন বলিউডে অভিষেকের অপেক্ষায়, তখনই সুজানের সঙ্গে তার প্রেম চলছিল। চার বছর প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা। ২০১০ সালের ‘কাইটস’ সিনেমার শুটিং চলাকালে হৃতিক ও সুজানের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
দুইজনই নতুন প্রেমে রয়েছেন। হৃতিক প্রেম করছেন অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে, আর সুজান প্রেম করছেন আর্সলান গোনির সঙ্গে।
ঢাকা/লিপি