শেষ মুহূর্তে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোয়াডে নাম ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়লেও এখনো নিশ্চিত নয় মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা। কারণ, আইপিএল, দিল্লি ক্যাপিটালস কিংবা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)—কেউই এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন আসেনি।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে হলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করতে হয় ফ্রাঞ্চাইজিকে । সেই প্রক্রিয়া এখনো শুরু না হওয়ায় মুস্তাফিজের এবারের আসরে খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস জানিয়েছেন, ছাড়পত্রের আবেদন পেলে সেটি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

দিল্লি ক্যাপিটালস ৬ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ার কথা জানালেও তার আইপিএলে খেলার জন্য বোর্ড ছাড়পত্র পাওয়া এখনো বাকি। ফলে বলা যায়, ‘দ্য ফিজ’-এর এবারের আইপিএল ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে।

এদিকে, চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএলের বাকি অংশ। দিল্লি তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ১৮ মে, প্রতিপক্ষ গুজরাট টাইটানস। তবে এর আগের দিনই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ওই সিরিজের স্কোয়াডে রয়েছেন মুস্তাফিজও। তাই বলা যায়, আরব আমিরাত সিরিজ শেষ করার আগে আইপিএলে যাওয়া হচ্ছে না মুস্তাফিজের। ছাড়পত্র পেলে পাকিস্তান সিরিজেও থাকা হবে না বাঁহাতি এই পেসারের। 

এর আগে, চলমান আইপিএলের জন্য ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ানো জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের জায়গায় বিকল্প হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। যদিও এই চুক্তি শুধুই চলতি আসরের বাকি অংশের জন্য, পরের মৌসুমে তাকে ধরে রাখতে পারবে না দলটি।

মুস্তাফিজের আইপিএল ক্যারিয়ারও বেশ সমৃদ্ধ। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে অভিষেকের পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন তিনি।

৫৭টি ম্যাচে ৬১ উইকেট শিকার করা এই বাঁহাতি পেসার আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতেও সফল। বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ, নিয়েছেন ১৩২ উইকেট।

সব মিলিয়ে বড় অঙ্কের আর্থিক চুক্তিতে আইপিএলে নাম লেখালেও মাঠে নামার আগে শেষ কথা বলবে বিসিবি। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত ছাড়পত্র আসে কি না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ল ল ক য প ট লস ম স ত ফ জ র রহম ন ক য প ট লস ছ ড়পত র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক