পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একটি ন্যায়সংগত এবং ভারসাম্যপূর্ণ কর ব্যবস্থার সুপারিশ করেছেন। ‘কার্যকর বাজেট পরিকল্পনার মাধ্যমে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অগ্রাধিকার’ শিরোনামের এ আলোচনা গত সোমবার রাতে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সঞ্চালনা করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড.

এম. মাসরুর রিয়াজ। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানানো হয়। 

এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, উচ্চহার উৎসে কর কর্তন ও বহুস্তর ভ্যাট হারের মতো সমস্যা দূর করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার অপরিহার্য। একটি ন্যায়সংগত কর ব্যবস্থা গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রয়োজন। এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী হয়রানি কমাতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ তথ্য জানানোর আহবান জানান। বিডার মহাসচিব মো. আরিফুল হক বলেন, রাজস্ব ও বিনিয়োগ একই মুদ্রার দুটি দিক। অটোমেশনের পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। 

জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক গিনতাউতাস দিরগেলা বলেন, তামাক খাতে ধারাবাহিক কর বৃদ্ধির আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলো তারা সরকারকে জানিয়েছেন, যা কালোবাজারের সুযোগ বৃদ্ধি না করেই সরকারের আয় বাড়াবে। ডিবিএল গ্রুপের চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল্লাহ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য কর প্রণোদনা না থাকলে পোশাক খাতের  অর্ডার ভিয়েতনাম বা ভারতে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে।  

গ্রামীণফোন লিমিটেডের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত বলেন, একজন ভোক্তা ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৩৯ টাকা কর দেয়, যা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাধাগ্রস্ত করছে। এ খাতের প্রবৃদ্ধি ও রাজস্ব স্থিতিশীলতার জন্য ভ্যাট ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক যুক্তিসংগত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেসলে বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার ও হেড অব ট্যাক্সেশন রেজাউল করিম বলেন, ভ্যাট রিটার্ন সহজ করলে ও করপোরেট করের হার কমিয়ে আনলে তা ব্যবসার খরচ কমাতে, ভোক্তার
ব্যয় উৎসাহিত এবং রাজস্ব বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ক্লিনটন থেকে ট্রাম্প: যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মন জয় ও পরে হতাশ করেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামীকাল শুক্রবার আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এতে তিনি এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে ৪৮টি বৈঠকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেন।

২৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার নেতৃত্বে থাকা পুতিন পাঁচজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ও কাজ করেছেন। তাঁরা হলেন বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন।

স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের সময় থেকে ২০০০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়ার কিছু বৈঠক তুলনামূলক বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হতে থাকায় পুতিনের সাম্প্রতিক বেশির ভাগ সাক্ষাৎ বিশেষ করে ওবামা ও বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকগুলো নিষ্প্রভ ছিল।

এখানে অতীতের সেসব সাক্ষাতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত তুলে ধরা হলো, তাতে দেখা যাবে কীভাবে একসময় জ্যাজ কনসার্ট ও মাছ শিকারের আড্ডাগুলো শেষ পর্যন্ত হুমকিতে গিয়ে ঠেকেছে।

জুন ২০০০: পুতিন–ক্লিনটন সাক্ষাৎরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ৪ জুন, ২০০০

সম্পর্কিত নিবন্ধ