যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে লাখো কোটি ডলারের চুক্তি সই
Published: 15th, May 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এসব চুক্তির আওতায় কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক লেনদেন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউস এসব তথ্য জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা ট্রাম্প গতকাল বুধবার সৌদি আরব সফর শেষ করে কাতারে যান। কাতারে পৌঁছানোর পর তাঁকে আড়ম্বরপূর্ণ সংবর্ধনা ও আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
এরপর কাতারের দোহায় থানি এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুই নেতা ঘোষণা দেন, তাঁরা যুগান্তকারী চুক্তিতে পৌঁছেছেন। এর আওতায় দুই দেশের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা হওয়ার আশা করছেন তাঁরা।
দুই দেশ একাধিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃক শতাধিক বোয়িং বিমান কেনার একটি চুক্তি। ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় কাতার এয়ারওয়েজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ও ৭৭৭ এক্স সিরিজের মোট ২১০টি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করেছে। এ ছাড়া কাতারের আল উদিদ বিমানঘাঁটি এবং অন্য আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের একটি ইচ্ছাপত্রও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
থানি বলেন, ট্রাম্পের কাতার সফরের মধ্য দিয়ে দোহা এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ‘এক নতুন উচ্চতায়’ পৌঁছেছে।
ট্রাম্প প্রথমে বলেছিলেন, এই চুক্তির আওতায় ১৬০টির বেশি জেট বিমান কেনা হবে, যার মূল্য ২০ হাজার কোটি ডলার। তবে হোয়াইট হাউস তাদের বিবৃতিতে সে সংখ্যা সংশোধন করে বলেছে, মোট ২১০টি উড়োজাহাজ কেনা হবে, যার আনুমানিক মূল্য ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
এ ছাড়া মার্কিন, তুর্কি ও সিরীয় কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন। সেখানে সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে এবার তিন দেশ সফর করছেন ট্রাম্প। আজ বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর এ সফর শেষ হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আওত য়
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে