বিকেএমইএর নতুন সভাপতি হলেন মোহাম্মদ হাতেম
Published: 15th, May 2025 GMT
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হাতেম। আর নির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফজলে শামীম এহসান। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুজনই এই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সভাপতি, নির্বাহী সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ছয়টি সহসভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে এসব পদের বিপরীতে সমানসংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। নির্বাচন বোর্ড যাচাই–বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। বিকেএমইএর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
১০ মে সরাসরি ভোটে বিকেএমইএর পর্ষদ নির্বাচন হয়। এতে মোহাম্মদ হাতেম প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়। যদিও নির্বাচনে ৩৫ পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৩৮ জন। প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্সের বাইরে প্রার্থী ছিলেন মাত্র তিনজন।
এমবি নিট ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাতেম বিকেএমইএর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। তিনি প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হন ২০০২ সালে। পরবর্তী সময়ে তিনি সংগঠনটির সাবেক সভাপতি সেলিম ওসমানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদে তিন মেয়াদে সহসভাপতি ও দুই মেয়াদে নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেলিম ওসমান আত্মগোপনে চলে গেলে সভাপতি নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হাতেম।
মোহাম্মদ হাতেমের নেতৃত্বাধীন বিকেএমইএ পরিচালনা পর্ষদ ২০২৫–২৭ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে। নতুন পর্ষদে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে অমল পোদ্দার ও সহসভাপতি (অর্থ) পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোরশেদ সারোয়ার। পাঁচ সহসভাপতি হলেন মো.
বিকেএমইএর নতুন কমিটির পরিচালকেরা হলেন মনসুর আহমেদ, আহসান খান চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, ইমরান কাদের, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, এম ইসফাক আহসান, আহমেদ নূর ফয়সাল, মো. আবদুল হান্নান, মোহাম্মদ জাকারিয়া ওয়াহিদ, মহসিন রাব্বানি, শাহরিয়ার সাইদ, মোহাম্মদ শামসুল আজম, আবদুল বারেক, মো. জামাল উদ্দিন মিয়া, নন্দ দুলাল সাহা, রতন কুমার সাহা, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. ইয়াসিন, রাজীব চৌধুরী, ফৌজুল ইমরান খান, মোহাম্মদ সেলিম, মিনহাজুল হক, মামুনুর রশিদ, রাকিব সোবহান মিয়া ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ হ ত ম ব ক এমইএর প
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বারের সাবেক ৩ সভাপতিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিগত তিনটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ রোববার এ মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা।
মামলা তিনটি আমলে নিয়ে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
যে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদার, মাহাবুবুর রহমান ও মিজানুর রহমান মামুন; সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, আনোয়ার শাহাদাত শাওন ও ফিরোজুর রহমান (মন্টু); সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল কালাম আক্তার হোসেন ও সহসভাপতি প্রাণ নাথ; কোষাধ্যক্ষ নূর হোসেন, ওমর ফারুক ও বিবি ফাতিমা।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক তিনটি কমিটির ১১ নেতার বিরুদ্ধে ঢাকা বারের অ্যানেক্স–৩ ও অ্যানেক্স–৪ নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে বর্তমান কমিটি। মূলত ভবন নির্মাণব্যয় নিয়ে স্বনামধন্য অডিট কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বারের ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ‘টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি’ জানার পর সাধারণ আইনজীবীরা সংক্ষুব্ধ। ন্যায়বিচারের জন্য ঢাকা বারের বর্তমান অ্যাডহক কমিটি মামলা করেছে।