নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হাতেম। আর নির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফজলে শামীম এহসান। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুজনই এই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সভাপতি, নির্বাহী সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ছয়টি সহসভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে এসব পদের বিপরীতে সমানসংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। নির্বাচন বোর্ড যাচাই–বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। বিকেএমইএর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

১০ মে সরাসরি ভোটে বিকেএমইএর পর্ষদ নির্বাচন হয়। এতে মোহাম্মদ হাতেম প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়। যদিও নির্বাচনে ৩৫ পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৩৮ জন। প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্সের বাইরে প্রার্থী ছিলেন মাত্র তিনজন।

এমবি নিট ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাতেম বিকেএমইএর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। তিনি প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হন ২০০২ সালে। পরবর্তী সময়ে তিনি সংগঠনটির সাবেক সভাপতি সেলিম ওসমানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদে তিন মেয়াদে সহসভাপতি ও দুই মেয়াদে নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেলিম ওসমান আত্মগোপনে চলে গেলে সভাপতি নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হাতেম।

মোহাম্মদ হাতেমের নেতৃত্বাধীন বিকেএমইএ পরিচালনা পর্ষদ ২০২৫–২৭ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে। নতুন পর্ষদে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে অমল পোদ্দার ও সহসভাপতি (অর্থ) পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোরশেদ সারোয়ার। পাঁচ সহসভাপতি হলেন মো.

সামসুজ্জামান, গাওহার সিরাজ জামিল, আশিকুর রহমান, ফকির কামরুজ্জামান ও মোহাম্মদ রাশেদ।

বিকেএমইএর নতুন কমিটির পরিচালকেরা হলেন মনসুর আহমেদ, আহসান খান চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, ইমরান কাদের, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, এম ইসফাক আহসান, আহমেদ নূর ফয়সাল, মো. আবদুল হান্নান, মোহাম্মদ জাকারিয়া ওয়াহিদ, মহসিন রাব্বানি, শাহরিয়ার সাইদ, মোহাম্মদ শামসুল আজম, আবদুল বারেক, মো. জামাল উদ্দিন মিয়া, নন্দ দুলাল সাহা, রতন কুমার সাহা, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. ইয়াসিন, রাজীব চৌধুরী, ফৌজুল ইমরান খান, মোহাম্মদ সেলিম, মিনহাজুল হক, মামুনুর রশিদ, রাকিব সোবহান মিয়া ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ হ ত ম ব ক এমইএর প

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নেত্রকোনায় সাংবাদিক লুৎফুজ্জামান আলিফের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোনা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদৎ, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের জেলা কমিটির সভাপতি পারভেজ, হামলার শিকার লুৎফুজ্জামান আলিফ প্রমুখ।

লুৎফুজ্জামান আলিফ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর দুপুরে লুৎফুজ্জামান আলিফ ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ জেলার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে যান। তাঁদের মধ্যে দুজন চাপাতি হাতে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। সঙ্গে থাকা শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি পরে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে গতকাল বাড়ি ফেরেন।

এ ঘটনায় লুৎফুজ্জামান বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেছেন। এতে দুর্গাপুর পৌরশহরের পশ্চিম মোক্তারপাড়া এলাকার ইমরান ইসলাম ওরফে ইমন (২৩) ও পুলিশ মোড় এলাকার মো. সৌরভের (২৩) নামোল্লেখ করে এবং আরও চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • “শিক্ষার শত্রু কাউছার” প্রতিবাদ সভায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী