টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান বরাবরই ডেথ ওভারের নির্ভরতার নাম। এবার সেই খ্যাতিকে ছাড়িয়ে গেলেন পরিসংখ্যানেও। শারজায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ দিকে করা সাতটি ডট বলে গড়েছেন নজিরবিহীন এক রেকর্ড। ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি ডট বলের মালিক এখন মুস্তাফিজুর রহমান।
এই ম্যাচে শেষ দিকে দুটি ওভার করেন তিনি। সেখানে মাত্র একটি উইকেট পেলেও, মূল কাজটা করে দেন ডট বলেই। এই ৭ ডট বল নিয়ে ডেথ ওভারে তার ডট বলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০০-তে, যা আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে প্রথমবার কোনো বোলারের এমন কীর্তি।
এই তালিকায় অনেক আগেই শীর্ষে ছিলেন মুস্তাফিজ। তবে শনিবার রাতে তা পৌঁছে যায় নতুন এক উচ্চতায়। তার পেছনে আছেন ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান (২৪১), নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি (২৪০), পাকিস্তানের হারিস রউফ (২২২) ও ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ (২০৮)।
রান খরচের দিক থেকেও প্রশংসার দাবি রাখেন মুস্তাফিজ। ডেথ ওভারে ৮৭ ইনিংসে ৭২৫ বল করে খরচ করেছেন ৯৯০ রান। এই তালিকায় কম রান দিয়ে তার উপরে রয়েছেন শুধু বুমরাহ (৪৯৫ বলে ৫৬৩ রান) ও রউফ (৫৮৬ বলে ৭৮২ রান)।
উইকেট শিকারের দিক দিয়ে মুস্তাফিজ আছেন দ্বিতীয় স্থানে। এই তালিকায় ১০০ ইনিংসে ৬৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। ৮৭ ইনিংসে মুস্তাফিজের ডেথ ওভারে উইকেট সংখ্যা ৬৩।
শুধু আন্তর্জাতিক নয়, সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়েও ডেথ ওভারে ডট বলের তালিকায় মুস্তাফিজ তৃতীয় স্থানে। তার ডট বল সংখ্যা ৮১৬। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো (১১৬৪) ও দ্বিতীয় স্থানে আছেন ক্রিস জর্ডান (৮৯৩)।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন এই ত ল ক য় উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান
এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।
আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।
কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ