কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আ’লীগের মিছিল থেকে আটক ১১
Published: 18th, May 2025 GMT
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় মিছিলের সময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
পুলিশ সূত্র জানায়, গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় রোববার বিকেলে মিছিলের চেষ্টা চালায় দলটির নেতাকর্মীরা। তখন ধাওয়া দিয়ে তাদের ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে ১২ মে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ–সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আটক আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
শেবাচিমে চিকিৎসককে মারধর, কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
তিন ঘণ্টা পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহাড়ায় জরুরি চিকিৎসা সেবা চালু হয়েছে। চিকিৎসকদের উপর হামলা ও নিরাপত্তা না থাকায় দুপুর ২টা থেকে কর্মস্থল ত্যাগ করেন চিকিৎসকরা। ফলে টানা তিন ঘণ্টা চিকিৎসা বঞ্চিত হন রোগীরা। হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীরের অনুরোধে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বিকেল ৫টা থেকে জরুরি সেবা চালু করা হয়। তবে বিকেল ৩টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রাব্বি আল মামুন ফয়সাল জানান, রবিবার বেলা ১২টার দিকে সদর রোড থেকে বেশ কিছু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে হাসপাতালের সামনে আসে। এ সময় তারা হাসপাতালের প্রতিটি গেটের সামনে স্কুল-কলেজের মার্কিং করে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের গালিগালাজ করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি ছিল বলে জানান রাব্বি আল মামুন।
তিনি বলেন, ‘‘দুপুর ২টার দিকে মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার দিলিপ রায় ডিউটি শেষে বের হওয়ামাত্র তাকে টেনেহিঁচড়ে বেদম মারধর করা হয়। পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের দিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। এতে বাহাউদ্দিন নামে এক কর্মচারী আহত হন।’’
চিকিৎসকের উপর হামলা ও কর্মস্থলে নিরাপত্তা না থাকায় বিকেল ৩টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেন ইর্ন্টান চিকিৎসকরা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আমরা গত ১৪ আগস্ট কর্মবিরতিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল পরিচালক স্যারের অনুরোধ ও রোগীর দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। এ সময় পরিচালক মহোদয়কে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়। কিন্তু আজকে ১৭ আগস্ট আবার আন্দোলনের নামে কিছু দুষ্কৃতিকারী ডা. দিলীপ রায় স্যারের উপর অতর্কিত হামলা করেছে। হাসপাতাল ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’’
ঘটনায় জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, ‘‘আজ মহিউদ্দিন রনির নেতৃত্বে বরিশালে বেশ কিছু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের হুমকি দেয়। ডা. দিলিপ রায়কে মারধর করেছে। চিকিৎসকের উপর নির্যাতন ও হাসপাতালের সামনে তারা অবস্থান নেওয়ায় রোগীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তেমনি চিকিৎসকরাও কর্মস্থলে নিরাপত্তা না থাকায় ঘটনার পর কর্মস্থল ত্যাগ করেন। তবে হাসপাতাল পরিচালক স্যারের বিশেষ অনুরোধে ও পুলিশের নিরাপত্তায় এবং মুমূর্ষু রোগীদের স্বার্থে আমরা মিড লেভেল চিকিৎসকরা শুধু জরুরি সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।’’
এ দিকে তিন ঘণ্টা চিকিৎসাবঞ্চিত হওয়ায় রোগীর স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারা ছুটে যান পরিচালকের কাছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর বলেন, ‘‘ঘটনার পরপরই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা আমার কাছে বিচার চেয়েছেন। তাদের শান্ত হয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেছি। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।’’
ঢাকা/পলাশ//