আইয়ুব খানের পর পাকিস্তানে প্রথম ফিল্ড মার্শাল হলেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির
Published: 20th, May 2025 GMT
ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৬০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর কোনো জেনারেল ফিল্ড মার্শাল হলেন। এর আগে পাকিস্তানের স্বৈরশাসন জেনারেল আইয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদন্নোতি দিয়েছিলেন।
আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। এই মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা জেরে দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর আসিম মুনিরকে এই পদোন্নতি দেওয়া হলো। কাশ্মীরে হামলা ঘিরে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সংঘাতে জড়িয়েছিল দুই দেশ।
পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফিল্ড মার্শাল হলো সামরিক বাহিনীর পাঁচ–তারকা বিশিষ্ট পদ। অসাধারণ নেতৃত্ব বা যুদ্ধক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য এই পদমর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছিলেন। এই পদমর্যাদায় থেকেই আসিম মুনির সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও শত্রুর পরাজয় নিশ্চিত করার জন্য আসিম মুনিরের ‘কৌশলগত প্রজ্ঞা ও সাহসী নেতৃত্বের’ স্বীকৃতি হিসেবে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে এয়ার মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিধুর দায়িত্ব পালনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন আসিম মুনির। সাধারণত পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের মেয়াদ হয় তিন বছর। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটির পার্লামেন্টে আইনের সংশোধন করে আসিম মুনিরের মেয়াদ পাঁচ বছর করা হয়। ফিল্ড মার্শাল হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল তিনি বলেছেন, ‘এটি শুধু (আমার) ব্যক্তিগত নয়, বরং পুরো দেশ এবং পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি সম্মান।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ শট র
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৭ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৭ কর্মকর্তাকে বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে বদলির এ আদেশ জারি করা হয়।
এর মধ্যে জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিনকে ডিএমপিতে, শিল্পাঞ্চল পুলিশের এ কে এম জহিরুল ইসলামকে ডিএমপিতে, পুলিশ অধিদপ্তরের ড. মাসুরা বেগমকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি, ১৩ এপিবিএনের আবদুল্লাহ আল মামুনকে উপপুলিশ কমিশনার ডিএমপিতে, সিএমপির মাহমুদা বেগমকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের পুলিশ সুপার, পুলিশ অধিদপ্তরের খালেদা বেগমকে এপিবিএনে পুলিশ সুপার, আরএমপির এস এম শফিকুল ইসলামকে জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি জান্নাতুল হাসানকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পাকশি রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহাব উদ্দীনকে রাজশাহী রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি আতিয়া হুসনাকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শাহ মমতাজুল ইসলামকে রংপুর রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), ডিএমপির উপকমিশনার আ স ম শামসুর রহমান ভূঁঞাকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), এসবির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে পিবিআইতে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দীনকে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পুলিশ সুপার খন্দকার নুর রেজওয়ানা পারভীনকে পিবিআইতে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে এবং এসবির পুলিশ সুপার এ কে এম আক্তারজ্জামানকে এসবিতেই অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।