গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত
Published: 23rd, May 2025 GMT
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বহু বৃদ্ধ, নারী ও শিশুও রয়েছেন।
শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেইর আল বালাহর আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় বহু হতাহতকে উদ্ধার করে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আশরাফ আমরার তোলা ছবিতে দেখা যায়, রক্তাক্ত শিশুদের কোলে নিয়ে ছুটছেন আহত স্বজনেরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি যেসব শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে অনাহারে, যাকে ‘অনাহারজনিত মৃত্যু’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং হাজারো মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৭৬২ জনে।
এছাড়া গাজায় ইসরায়েলের এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডাকসু নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের রাষ্ট্রদূতে আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ১৮ গবেষক
এতে ডাকসু সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ এবং ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এইচএম মোশারফ হোসেনসহ সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকবৃন্দ।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসন সুবিধা বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নিজেদের মতামত প্রদান করেন সম্পাদকবৃন্দ।
প্রস্তাবিত ৫০০০ ছাত্রীদের আবাসন সুবিধা সম্বলিত চায়না-বাংলাদেশ মৈত্রী হলের নির্মাণ কাজ এ বছরের মধ্যেই শুরু হবে বলে আলোচনা হয়। ডাকসুর নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো দুটো হল নির্মাণের প্রস্তাব দেন এবং রাষ্ট্রদূত তা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় ধাপে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন। এছাড়াও তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, স্কলারশিপ, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ডাকসুর নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে স্মারক প্রদান করা হয় এবং ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক উপহার প্রদান করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী