ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বহু বৃদ্ধ, নারী ও শিশুও রয়েছেন।

শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেইর আল বালাহর আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় বহু হতাহতকে উদ্ধার করে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আশরাফ আমরার তোলা ছবিতে দেখা যায়, রক্তাক্ত শিশুদের কোলে নিয়ে ছুটছেন আহত স্বজনেরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি যেসব শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে অনাহারে, যাকে ‌‘অনাহারজনিত মৃত্যু’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং হাজারো মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৭৬২ জনে।

এছাড়া গাজায় ইসরায়েলের এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড

টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।

আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।

তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। 

সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।

গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ