বাংলাদেশের ‘উৎসব’ তিন দেশের ৩৭ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল
Published: 20th, June 2025 GMT
তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ আজ (২০ জুন) মুক্তি পাচ্ছে কানাডা, আমেরিকা ও ইউকের ৩৭টি সিনেমা হলে। প্রথম সপ্তাহে কানাডার ৬টি, আমেরিকার ৩০টি ও ইউকের ১টি থিয়েটারে চলবে ‘উৎসব’। যাতে, পৃথিবী বিখ্যাত সিনেমা চেইন এএমসি (যুক্তরাষ্ট্র) এর স্ক্রিন সংখ্যা ১৫টি, রিগ্যাল (যুক্তরাষ্ট্র) এর স্ক্রিন সংখ্যা ১১টি, সিনেপ্লেক্স (কানাডা) এর স্ক্রিন সংখ্যা ৬টি, সিনেমার্ক (যুক্তরাষ্ট্র) এর স্ক্রিন সংখ্যা ২ টি, শোকেস (যুক্তরাষ্ট্র) এর স্ক্রিন সংখ্যা ২টি, সিনেওয়ার্ল্ড (ইউকে) এর স্ক্রিন সংখ্যা ১টি।
কানাডা, আমেরিকা ও ইউকের থিয়েটারে একযোগে মুক্তি উপলক্ষে দর্শকদের পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিনেমাটির পরিচালক।
তানিম নূর বলেন, “দেশে দারুণভাবে দর্শক সমাদৃত হয়েছে ‘উৎসব’। আশা করি বাংলাদেশে যেমন সবার ভালো লেগেছে আপনাদের কাছেও তেমনি ভালো লাগবে।”
‘উৎসব’ সিনেমার আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সার্কিটে ২০ জুন এ বছরের সবচেয়ে কঠিন ডেইটগুলোর একটা। একে তো হলিউডের সব বড় বড় ছবির লাইন লেগে আছে, সাথে যোগ হয়েছে ভারতের ইকুয়েলি বড় ২ সিনেমা।
এর মধ্যে মোটামুটি যুদ্ধ করে এ হলগুলো নিতে হয়েছে। একটু আফসোস আছে অ্যামেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস, ফিলাডেলফিয়া আর ক্যানাডার ভ্যানকুভার ও ক্যালগেরির জন্য। তবে, প্রথম সপ্তাহে ভালো শুরু পেলে এ শহরগুলোতে পরের যেকোনো সপ্তাহে রিলিজের সুযোগ থাকছে ‘উৎসব’-এর। প্রথম সপ্তাহে কানাডার টরন্টো, মন্ট্রিয়াল, অটোয়া, উইন্ডসর,এডমন্টন, রেজিনাতে চলবে উৎসব।
আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটি, ডালাস, হিউস্টন, আটলান্টিক সিটি, ওয়াশিংটন ডিসি,বাফেলো, নেশভিল, শার্লটে, মিয়ামি, টাম্পা, অরল্যান্ডো, ওকলাহোমা সিটি, শিকাগো, ফিনিক্স, আটলান্টা, সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়া চলছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের লন্ডনেও থাকছে উৎসব।
ডোপ প্রডাকশনস ও লাফিং এলিফ্যান্ট প্রযোজিত ‘উৎসব’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, অপি করিম, সাদিয়া আয়মান, সৌম্য, বিশেষ চরিত্রে আফসানা মিমি, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম এর স ক র ন স খ য য ক তর ষ ট র আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।