নওগাঁর ধামইরহাট থানা হেফাজতে থাকা ট্রাঙ্ক ভেঙে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় থানা ভবনের নির্ধারিত লকার কক্ষে রাখা সিলগালা ট্রাঙ্কের তালা ভাঙা হয়। বিষয়টি শুক্রবার প্রকাশ্যে আসে। ট্রাঙ্কের ভেতরে থাকা ইসলামের ইতিহাসের দুটি প্রশ্নপত্রের ছেঁড়া অংশ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ভাঙা ট্রাঙ্কের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, দুটি তালা ভাঙা এবং ভেতরে ছেঁড়া প্রশ্নপত্র ছড়ানো। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁর জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন, প্রশ্নপত্র সংরক্ষণের নিয়ম অনুযায়ী, সিলগালা করা ট্রাঙ্কের তালা খোলা থাকার কথা না। তদন্তে প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, প্রাথমিকভাবে যেটি চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তা ইসলামের ইতিহাসের প্রশ্নপত্র। বিষয়টি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে। আজ শনিবার বোর্ডের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) সাদিয়া আফরিন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ট্রাঙ্কে যে পরিমাণ প্রশ্নপত্র থাকার কথা, তার সবকটি পাওয়া গেছে। তবে তালা ভাঙা ছিল এবং বাক্সটি খোলা পাওয়া যায়। তাই প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নওগাঁর পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা। অন্যদিকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ইতোমধ্যে ধামইরহাট থানার এক উপপরিদর্শক ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের নাম জানানো হয়নি।

এসপি জানান, ঘটনা তদন্তে পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৬ জুন থেকে সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ এইচএসস ব ষয়ট তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

এইচএসসি পরীক্ষায় কোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা, জানাল শিক্ষা বোর্ড

এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নির্ধারিত কয়েকটি মডেলের সায়েন্টিফিক নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এছাড়া সাধারণ ক্যালকুলেটরও ব্যবহার করা যাবে। ক্যালকুলেটরের নির্দিষ্ট মডেল উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,

কোন ধরনের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এফএক্স- ১০০এমএস, এফএক্স-৯৯১ইএস, এফএক্স-৫৭০এমএস, এফএক্স-৮২এমএস, এফ এক্স-৯৯১ইএক্স, এফএক্স-৯৯১এমএস, এফএক্স-৯৯১ইএস প্লাস মডেলের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখিত মডেল ছাড়াও শিক্ষার্থীরা সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন।

আগামী ২৬ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নওগাঁয় থানা হেফাজতে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ‘ফাঁস’, তদন্ত কমিটি গঠন
  • বোয়ালখালীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ৭ নির্দেশনা
  • এইচএসসি পরীক্ষা: বাংলা প্রথম পত্রে ভালো নম্বর পাওয়ার নিয়ম
  • এইচএসসি পরীক্ষায় কোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা, জানাল শিক্ষা বোর্ড