ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসে ইসরায়েলের পাশে সামরিকভাবে যুক্ত হওয়ার কথা ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। অন্যদিকে ইরানে আগ্রাসন চালানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে ইসরায়েল বলছে, দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই তারা দেশটিতে আগাম হামলা চালিয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হিসেবে পরিচিত জাতিসংঘ সনদ এক দেশের ওপর অন্য দেশের কোনো ধরনের আগ্রাসনকে অনুমোদন করে না। সনদটি শুধু আত্মরক্ষার প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ অনুমোদন করে। তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সব ধরনের দ্বন্দ্ব শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। ব্যর্থ হলে বলপ্রয়োগের বৈধতা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে।

নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চলার মধ্যেই কোনো দেশ আক্রান্ত হলে সে দেশের ‘ব্যক্তিগত বা সম্মিলিত আত্মরক্ষার স্বাভাবিক অধিকার’ থাকে। মানে আক্রান্ত দেশও হামলাকারী দেশের ওপর ন্যায়ানুগভাবে পাল্টা হামলা চালাতে পারবে।

ইরানে আগেভাগে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার দাবি করা কতটা আন্তর্জাতিক আইনে যুক্তিসংগত, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন। ইসরায়েল যদি প্রমাণ করতে পারে যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, তবে সেই আগাম হামলা বৈধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ইসরায়েল ও তার মিত্রদের জন্য এটাই এখন আইনি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু।

ইরানের ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্রের বিভিন্ন ভবন। স্যাটেলাইট ছবিতে ধারণকৃত, ১৭ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ