বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ একাধিক দাবিতে ঢাকার নতুন বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোনো আলোচনা বা ব্যাখ্যা দেওয়া ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবির হলে হলে ফ্যান, খুশি শিক্ষার্থীরা

কুষ্টিয়ায় ছাত্রাবাসে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

তারা জানিয়েছেন, পূর্ণ তদন্ত না হওয়া এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, “পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল ৮টা থেকে নতুন বাজার মোড়ে ব্লকেড ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি স্পষ্ট – বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারী মনোভাব পরিহার করে একটি সুস্থ ও গণতান্ত্রিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।” 

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা মূলত বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া এবং স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

ঢাকা/এম আর/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ