ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির মিডিয়া কর্মকর্তা মিলন হোসেন জানান, শনিবার (২১ জুন) বিকেলে সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আমুদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার বিকাশ কুমার। বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন কুশখালী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাছিবুর রহমান।

ফেরত আসারা হলেন- সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের বিমল কৃষ্ণ মণ্ডলের মেয়ে রাণী মণ্ডল, দেবাশীষ মণ্ডলের মেয়ে রিয়া মণ্ডল, ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানার মাদরাসা গলির বাবু মিয়ার মেয়ে মারিয়া আক্তার, সেলিম মিয়ার মেয়ে নুসরাত জাহানসহ ১৪ জন।

আরো পড়ুন:

বিজিবি সদস্যের ভুল করে ভারতে চলে যাওয়ার খবর

ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ৭ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

বিজিবি জানায়, বিএসএফের হস্তান্তর করা ১৪ জনের বাড়ি সাতক্ষীরা, ঢাকা, খুলনা, গাজীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায়। তারা বিভিন্ন সময় ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সেখানে বসবাস করছিলেন। ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ তাদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আটক করে। পরে নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি ফেরত দেওয়া ১৪ জনকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করেছে।

সাতক্ষীরা থানার ওসি মো.

শামিনুল ইসলাম বলেন, ‍“শনিবার রাত ৯টার দিকে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই ১৪ বাংলাদেশিকে যাচাই-বাছাই শেষে  পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এক বিরল মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ তার বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তের শূন্য রেখায় এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কলমাকান্দায় ৩৯ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার

উখিয়ায় ৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, মৃত নারীর নাম সেলিনা বেগম। বার্ধক্যজনিত কারণে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ভারতের মালদা জেলার গোপালগঞ্জ থানার শ্মশানী-চকমাহিলপুরের নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি মৃত গাজলুর রহমানের স্ত্রী। মৃত সেলিনা বেগমের ভাই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাটোলা-বাগিচাপাড়ার বাসিন্দা তোফাজ্জল হক।

তিনি জানান, তার বোনের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য বিজিবির কাছে আবেদন জানান। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বিজিবি। তারা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমারেখায় সীমান্ত পিলার ১৮২/২-এস এর নিকট শূন্য লাইনে তোফাজ্জল হককে তার প্রয়াত বোনের মরদেহ দেখানোর সুযোগ দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, সীমান্তে বিজিবি সবসময় অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করতে চায়। মরদেহ স্বজনদের দেখানোসহ এ ধরনের কার্যক্রমকে বিজিবি মৌলিক কর্তব্য মনে করে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্থানীয়রা উচ্চ প্রশংসা করেছে। তারা বলছেন, এটি প্রমাণ করে যে মানবিক সম্পর্ক সীমান্তের বেড়াজাল পেরিয়েও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি