জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট—দুটোই একই দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। কারণ, দুটো নির্বাচন দুই দিনে আয়োজন প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে চায় সরকার।

এভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবিদাওয়ার মধ্যে কিছুটা সমন্বয় করে সরকার একটা সমাধান বের করার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান দুটি দল নিজ নিজ দাবি থেকে কিছুটা ছাড় দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র বলছে, ১৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সবকিছু চূড়ান্ত হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ এবং গণভোট করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। কয়েকজন উপদেষ্টা দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা সরকারের মনোভাব এবং বাস্তব পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক দলগুলোকে।

গণভোট প্রশ্নে বিএনপি, জামায়াতসহ তাদের সমমনা দলগুলোর অবস্থান ঠিক বিপরীত। জামায়াতের দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। আর বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে চায়। সরকার জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের পক্ষে। এ বিষয়ে জামায়াত ছাড় দেবে বলে আশা করছে সরকার। অন্যদিকে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি এসেছে জুলাই সনদে। বিএনপির এতে আপত্তি আছে। বিএনপি এ বিষয়ে ছাড় দেবে বলে সরকারের আশা।

সূত্র বলছে, ১৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সবকিছু চূড়ান্ত হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ এবং গণভোট করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন উপদেষ্টা পরিষদের এমন একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সব দল, বিশেষ করে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের দাবি একটু একটু সমন্বয় করে সরকার সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে। সরকার নিজের মতো করেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ১৮ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ই সনদ উপদ ষ ট সরক র র ব এনপ গণভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সাতকানিয়ায় ছেলের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল বাবার

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ছেলের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আজ সোমবার ভোরে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম আহমদ হোসেন (৫২)। তিনি নয়াপাড়া এলাকারই বাসিন্দা। হত্যায় অভিযুক্ত তাঁর ছেলের নাম রিয়াদ হোসেন (২২)। ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাঁশখালীতে পালানোর পথে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাতে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আহমদ হোসেনের সঙ্গে তাঁর ছেলে রিয়াদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে বাবা আহমদ হোসেনের গলায় ছুরিকাঘাত করেন ছেলে রিয়াদ। চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা আহমদ হোসেনকে উদ্ধার করেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদত ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর গলার ডান পাশে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের জখম রয়েছে।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত রিয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ