নওগাঁর ধামইরহাট থানা হেফাজতে থাকা ট্রাঙ্ক ভেঙে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওসি আবদুল মালেককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরও ৪ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করেছে জেলা পুলিশ। এ নিয়ে ৬ জনকে প্রত্যাহার করা হলো। এর আগে, বৃহস্পতিবার এসআই জাকিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল ইকবালকে প্রত্যাহার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় থানা ভবনের নির্ধারিত লকার কক্ষে রাখা সিলগালা ট্রাঙ্কের তালা ভাঙা হয়। বিষয়টি শুক্রবার প্রকাশ্যে আসে। ট্রাঙ্কের ভেতরে থাকা ইসলামের ইতিহাসের দুটি প্রশ্নপত্রের ছেঁড়া অংশ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভাঙা ট্রাঙ্কের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, দুটি তালা ভাঙা এবং ভেতরে ছেঁড়া প্রশ্নপত্র ছড়ানো। শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার জানান, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নওগ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্লাব বিশ্বকাপে গরম আর ঝড়–বৃষ্টিই শিরোনাম, ২০২৬ বিশ্বকাপে কী হবে
দরদর করে ঘামছিলেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ড কোচ নিকো কোভাচ। ডাগআউটে দাঁড়িয়েই এই অবস্থা হয়েছিল তাঁর। হওয়ারই কথা, বাংলাদেশ সময় কাল রাতে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার দল মামেলোদি সানডাউনসের মুখোমুখি হলো বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, সিনসিনাটির তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন গরমে খেলতে অনভ্যস্ত ডর্টমুন্ড কোচ ম্যাচ শেষে বললেন, ‘এমনভাবে ঘামছি, মনে হচ্ছে মাত্রই সনা (বাষ্পস্নান) থেকে বেরোলাম।’
নিজে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ঘেমেনেয়ে একাকার হলেও মাঠের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের বাঁচাতে অভিনব পদ্ধতিই অবলম্বন করেছিলেন কোভাচ। বদলি খেলোয়াড়দের ডাগআউটে না রেখে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে বসেই তাঁরা টেলিভিশনে প্রথমার্ধের খেলা দেখেন। ড্রেসিংরুমে বসে খেলোয়াড়েরা খেলা দেখছেন, এমন ছবি নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে ডর্টমুন্ড লিখেছে, ‘টিকিউএল স্টেডিয়ামের গনগনে তাপ থেকে বাঁচাতে আমাদের বদলিরা লকার রুমে বসে প্রথমার্ধের খেলা দেখেছে। এমন কিছু আগে দেখা যায়নি, কিন্তু কী করা! এই গরমে আসলে আর কীই–বা করার ছিল।’
এই গরমে খেলে সানডাউনসকে কোভাচের দল ৪-৩ গোলে হারালেও ম্যাচের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকানরা ভালোই চেপে ধরেছিল। স্থানীয় সময় দুপুরে শুরু হওয়া ম্যাচটি নিয়ে আগে থেকেই অবশ্য উদ্বিগ্ন ছিলেন কোভাচ। ম্যাচের আগেই তিনি উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন, ‘দুই দলের জন্যই কঠিন হবে। তবে প্রতিপক্ষ দলটি এই আবহাওয়ায় খেলে অভ্যস্ত।’
শুধু কি গরম, ঝড়-বৃষ্টিও কম ঝামেলায় ফেলছে না ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপকে। এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ শুরু করতে দেরি হয়েছে কিংবা মাঝপথে থেমেছিল বজ্রঝড়ে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসও ভালো কিছু বলছে না। বরং শঙ্কিত হওয়ার মতোই খবর পাওয়া গেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে। যেখানে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে তীব্র তাপপ্রবাহে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
গরমের কারণে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বদলি খেলোয়াড়েরা কাল মামেলোদি সানডাউনস–ডর্টমুন্ড ম্যাচের প্রথমার্ধটা দেখেছে লকার রুমে বসে