ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৯
Published: 22nd, June 2025 GMT
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৯ জন।
রবিবার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৫১
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৮
২৪ ঘণ্টায় ৩১০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ছয় হাজার ৮১৭ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২২ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে সাত হাজার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক এক শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক নয় শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুতে মৃত একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩২ জন মারা যান।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন।
ঢাকা/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাটকীয়তা আর রহস্যে মোড়ানো ফ্রেন সিলাকের জীবন
কারও কারও জীবনের গল্প এমন যে ‘ফিকশনকেও’ হার মানায়। এমন একজন মানুষ হলেন ফ্রেন সিলাক। তাকে বলা হয় ‘লাকিয়েস্ট আনলাকিয়েন্স ম্যান’। কেন এই খেতাব পেলেন ফ্রেন সিলাক?
ফ্রেন একদিকে যেমন একে একে সাত বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন অন্যদিকে লটারি জিতে কোটিপতি হয়েছিলেন। ৪ বার ব্যর্থ বিবাহের আঘাত সহ্য করেছেন। তারপর পঞ্চম বিয়ে করে করে নতুন সংসার করছেন। ক্রোয়েশিয়ার সংগীত শিক্ষক ফ্রানে সেলাকের জীবন কাহিনি এমনই। বিশ্বজুড়ে তিনি পরিচিত তার অবিশ্বাস্য সৌভাগ্যের জন্য।
১৯২৯ সালের ১৪ জুন ক্রোয়েশিয়ায় জন্ম ফ্রেন সিলাকের। ফ্রেন পেশায় একজন সংগীত শিক্ষক ছিলেন। তার জীবন ছিল খুবই সাধারণ। ১৯৬৬ সালে ফ্রেন পড়েছিল বাস দুর্ঘটনায়। তিনি যে বাসে চড়েছিলেন সেই বাসটি নদীতে পড়ে যায়। সেখানে চারজন হতাহতের ঘটনা ঘটলেও ফ্রেন অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। এরপরে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে অস্বাভাবিক কিছু বছর কেটে গেছে। সেলাক জানায় যে তার গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক মোটরওয়েতে বিস্ফোরিত হয়েছিল।
৩৩ বছর বয়সে ফ্রেনে একবার বিমানে চড়েছিলেন। সেই বিমান পড়লো দুর্ঘটনার কবলে। কিন্তু ফ্রেন দুর্ঘটনায় পড়া বিমান থেকে সোজা খড়ের গাদার উপর ভূপতিত হন। এবং প্রাণে বেঁচে যান।
একবার তিনি একটি বাসের ধাক্কা থেকেও ফিরে আসেন জীবনে।
এতো এতো ঘটনার পরে সেলাক একদিন এক মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ₹৮.৩৬ কোটি) লটারি জেতেন। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, ফ্রেন প্রায় সব অর্থই পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।
‘রিপ্লেস বিলিভ ইট অর নট’ অনুযায়ী, ২০০০ সালের মাঝামাঝি সেলাক ক্রোয়েশিয়ায় লটারি জেতেন। তিনি সেই টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনেন। কিন্তু ২০১০ সালে সেই বাড়ি বিক্রি করে দেন।
বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ফ্রেন জীবনের শেষ পর্যায়ে আবার অর্থ, বাড়ি সব হারিয়ে সাধারণ জীবন যাপনে ফিরে এসেছেন। কিন্তু তিনি পঞ্চম স্ত্রীর সঙ্গে ভালো আছেন।
ঢাকা/লিপি