রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় চেয়ে আবেদন করেছেন মডেল মেঘনা আলম। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি মডেল নই, পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার। আমাকে গ্রেপ্তার নয়, বাসা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।’

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির হন মেঘনা আলম। এরপর তার আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন জব্দ থাকা মোবাইল, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

শুনানি শেষে মেঘনা আলম বলেন, ‘গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বলা ভুল হবে। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কারণ গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, সেটা মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। আইনের লোক হোক বা না হোক, আমার বাসায় এসে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালিয়ে জোর করে নিয়ে যায়। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে, গ্রেপ্তার বলে না।’

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ডিটেনশন আইনে মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। ওইদিনই কারামুক্ত হন তিনি। এর পর থেকে তিনি জামিনে আছেন।

গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পর দিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনা কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া গ্রেপ্তারের পর গত ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২২ এপ্রিল এ মামলায় তার আরও ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে গত ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ দিকে চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েকে দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধপন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। সম্প্রতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনা আলমের সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমে সাড়া না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, আড়াই মাস পর উদ্ধার

প্রেমে সাড়া না পেয়ে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করেন এক তরুণ। এ ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর আজ বুধবার ভোরে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। পাশাপাশি অভিযুক্ত মুস্তাকিন মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মুস্তাকিন মিয়ার বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় দেন আদালত।

অভিযোগ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মুস্তাকিন মিয়া ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণ ক্ষিপ্ত ছিলেন। গত ১৩ মে বেলা একটার দিকে ওই কিশোরী এসএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। তখন মুস্তাকিন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা ১৮ মে নবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০)–এর ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন।

এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯-এর হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল আজ ভোরে জেলার বাহুবল উপজেলা সদরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুস্তাকিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দাবি করেন যে তিনি ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছেন। যদিও আইনগত কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।

র‍্যাব-৯-এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল ইসলাম মুস্তাকিন মিয়াকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রেমে সাড়া না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, আড়াই মাস পর উদ্ধার