পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পাচ্ছে ৩০ প্রতিষ্ঠান
Published: 22nd, June 2025 GMT
দেশের ৩০টি শিল্পকারখানা এবারের পরিবেশবান্ধব কারখানা পুরস্কার বা গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আবদুল গণি সড়কের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৯ জুন পরিবেশবান্ধব কারখানা পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে। গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা–২০২০-এর আওতায় ১৬টি খাতের ৩০টি শিল্পকারখানাকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ দেওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী, তিনটি শিল্পগোষ্ঠীর একাধিক প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রান্সকম গ্রুপের ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চরকা টেক্সটাইল ও হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো এবং আকিজ গ্রুপের আকিজ টেক্সটাইল ও আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।
নিট তৈরি পোশাক খাত থেকে পুরস্কার পাচ্ছে নরসিংদীর পলাশের চরকা টেক্সটাইল, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইকোটেক্স ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন। ওভেন তৈরি পোশাক খাত থেকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তারাসিমা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের জিরানী বাজারের আউকু টেক্স, ময়মনসিংহের স্কয়ার ফ্যাশন পুরস্কার পাচ্ছে।
বস্ত্র খাতের চারটি প্রতিষ্ঠান এবার পরিবেশবান্ধব কারখানার পুরস্কার পাচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জের চরকান্দার আকিজ টেক্সটাইল মিলস, হবিগঞ্জের মাধবপুরের পাইওনিয়ার ডেনিম, চট্টগ্রাম চান্দগাঁওয়ের কেডিএস টেক্সটাইল মিলস ও পটিয়ার ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং। অটোমোবাইল খাতের একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পাচ্ছে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ।
ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারক খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পাচ্ছে। সেগুলো হলো নরসিংদীর শাষপুরে অবস্থিত ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস, নরসিংদীর শিবপুরের ফেয়ার ইলেকট্রনিকস ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।
সরঞ্জাম ও সংযোগ শিল্প খাত থেকে একমাত্র পুরস্কার পাচ্ছে ঢাকার ধামরাইয়ের আদজি ট্রিমস। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে পুরস্কার পাচ্ছে ধামরাইয়ের আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো। চা–শিল্প থেকে পুরস্কার পাচ্ছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের জেরিন চা–বাগান ও মির্জাপুর চা–বাগান।
চামড়াশিল্প (তৈরি পণ্য) খাতের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছে ময়মনসিংহের ভালুকার সুনিভার্স ফুটওয়্যার। এ ছাড়া পাট খাতে রংপুরের রবার্টগঞ্জের কারুপণ্য রংপুর, টাইলস অ্যান্ড সিরামিক খাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের এক্স সিরামিক পুরস্কার পাচ্ছে।
এ ছাড়া প্রসাধনী খাতে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় রিমার্ক এইচবি ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের স্কয়ার টয়লেট্রিজ পুরস্কার পাচ্ছে। ওষুধ খাতে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছে গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস।
জাহাজভাঙা ও জাহাজ নির্মাণ খাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পিএইচপি শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ, খুলনার লবণচরার খুলনা শিপইয়ার্ড ও সীতাকুণ্ডের কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডও পরিবেশবান্ধব শিল্প হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছে। এ ছাড়া সিমেন্ট খাতে গাজীপুরের কালীগঞ্জের সেভেন সার্কেল ও ইস্পাত খাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএসআরএম স্টিলস এবার পুরস্কার পাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র প চ ছ
এছাড়াও পড়ুন:
স্কুলব্যাগে মানুষের কঙ্কাল নিয়ে বাসে উঠছিলেন, ধরা পড়লেন তল্লাশিতে
ময়মনসিংহের ভালুকায় মহাসড়কে তল্লাশির সময় স্কুলব্যাগে মানুষের তিনটি কঙ্কালসহ একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মেহরাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (২২)। তিনি শেরপুরের নকলা উপজেলার বাছুর আলগা গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা আরেকজন পালিয়ে যান। ওই দুজন কঙ্কাল পাচারকারী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আজ ভোরে ভালুকার মেহরাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যৌথ বাহিনীর নিয়মিত টহল চলছিল। মহাসড়কের ওই এলাকায় বাসে ওঠার সময় দুই তরুণকে সন্দেহ হলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সঙ্গে থাকা ব্যাগগুলো তল্লাশি করতে চান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তখন তাঁরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় মাসুদ রানাকে মেহরাবাড়ী বাজার থেকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা স্কুলব্যাগ তল্লাশি করে তিনজন মানুষের মাথার খুলি ও কঙ্কাল পাওয়া যায়। এগুলো ভালুকা মডেল থানায় রাখা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, কঙ্কাল বিক্রির জন্য ওই চক্রের সদস্যরা ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তাঁরা দীর্ঘদিন বিভিন্ন কবরস্থান থেকে কঙ্কাল তুলে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। প্রতিটি কঙ্কালের দাম ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হবে। আটক ব্যক্তিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।