বিপিএলের প্রতি বৈশ্বিক ক্রিকেটারদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল প্রথম দিকে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটাররা খেলেছেন ঢাকার টি২০ লিগে। ২০২০ সাল পর্যন্ত বড় কোম্পানির হাতে ছিল বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা। বেক্সিমকো, জেমকন, বসুন্ধরা, ওরিয়েন্ট, ডিবিএল ও আলিফ গ্রুপের হাতে ছিল দলগুলো। বিসিবি পেশাদারিত্ব দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব কোম্পানির বেশির ভাগই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। 

দেরিতে হলেও সেই ভুলের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলকে ঢেলে সাজাতে চায় বিসিবি। ১৪ বছর পর বাণিজ্যিক ও পেশাদার মডেল দেওয়া হতে পারে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০ লিগে। এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেওয়া হতে পারে বলে জানান বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আনাম। আইএল টি২০ বা এসএ২০ লিগের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠান চাইলে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে জানান বিসিবির একজন কর্মকর্তা। 

২০১২ সালে বিপিএল শুরু হয়েছিল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গেম অনের মাধ্যমে। আইপিএলের মডেল অনুসরণ করে ক্রিকেটারদের নিলাম, ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচন ও রাজস্ব বণ্টন করা হয়। অংশগ্রহণকারী ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি সাড়ে সাত লাখ ডলার করে লভ্যাংশ দেওয়া হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি নেওয়া হয় এক মিলিয়ন ডলার। এতে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা লভ্যাংশ পেয়ে খুশি থাকলেও বিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি ফির কারণে পাঁচ লাখ ডলার অতিরিক্ত ব্যয় করতে হিমশিম খেয়েছে।

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছিল ক্রিকেটারের কোটি কোটি টাকা সম্মানী পরিশোধ করতে গিয়ে। টুর্নামেন্ট শেষে সম্মানী পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বিদেশিদের দায়িত্ব নেয় বিসিবি। প্রথম আসরে গেম অন বা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে চুক্তিও ছিল না। টুর্নামেন্ট শেষে নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো গেম অনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে। ফলে প্রথম দুই আসরের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লভ্যাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেয় বিসিবি। 

গেম অনের সঙ্গে বিসিবির অভিজ্ঞতা সুখকর না হলেও নতুন করে বিপিএল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আনামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিপিএলের পুরো কাঠামো ঠিক করতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি নীতিমালা থেকে শুরু করে টুর্নামেন্ট কীভাবে হলে বিপিএল বাণিজ্যিক টুর্নামেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, সে চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর মডেল অনুসরণ করা যেতে পারে। আইপিএল নিয়ে কাজ করা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির পরামর্শ নেওয়া গেলে ভালো হবে।’ 

বিসিবি একজন কর্মকর্তা গতকাল সমকালকে জানান, ২০২১ সাল পর্যন্ত আইপিএল আয়োজনে দায়িত্ব পালন করা আইএমজিকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বিপিএল আয়োজনে। তিনি বলেন, ‘বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ম্যানেজ করা খুব কঠিন। নিম্বাসের কাছে টিভি সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির অভিজ্ঞতা ভালো না। আইএমজিকে বিপিএল আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হলে সেটা ভালো না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বরং দেশি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হলে চুক্তির অর্থ আদায়ের সুযোগ থাকবে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা নিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠিত বড় কোনো কোম্পানির আগ্রহী হলে সুযোগ দেওয়া উচিত।’ 

বিসিবির একজন পরিচালক জানান, বিদেশি ভালো কোম্পানি এলে ফ্র্যাঞ্চাজি স্বত্ব দেওয়া হতে পারে। যদিও মাহাবুবুল আনাম বলছেন, ‘এই বিষয়টি কার্যকর করতে হলে বোর্ডের সিদ্ধান্ত লাগবে।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিপিএল নিয়ে কাজ করছেন মাহাবুবুল আনাম ও সদস্য ফাহিম সিনহা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ফ র য ঞ চ ইজ গ ম অন ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক ‘অস্ত্র’ না হয়ে প্রভাবমুক্ত হোক পুলিশ

ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা—এই প্রবণতা স্বাধীনতার পর থেকেই দেখা গেছে। যখন যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের স্বার্থে পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের অনেক সদস্য রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়েছেন। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে দেশে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্বাধীন বা স্বায়ত্তশাসিত পুলিশ কমিশন গঠন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

‘পুলিশ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা: নাগরিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনদের আলোচনায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত এই বৈঠকে আলোচকদের মধ্যে রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি পুলিশের বর্তমান ও সাবেক আইজিপি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আইনজীবীসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ছিলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ। তিনি বলেন, পুলিশের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত পুলিশ কমিশন প্রতিষ্ঠা করা উচিত। সাবেক ও বর্তমান বিচারপতি, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৯-১১ সদস্যের এই কমিশন হতে পারে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, চীন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে এমন কমিশন আছে।

সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৪০০ মানুষের বিপরীতে একজন পুলিশ থাকার কথা। বাংলাদেশে ৮৪৩ জনের বিপরীতে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এমনকি এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়েও বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে। ভারতে ৬৬৭ জনের বিপরীতে একজন, পাকিস্তানে ৫৫২, থাইল্যান্ডে ২৯৭ এবং মালয়েশিয়ায় ৩১৩ জনের বিপরীতে একজন পুলিশ সদস্য আছেন।

বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম। তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানের আগে পুলিশ সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের উপস্থিতি প্রথমেই পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে শুরু হয়। অথচ যুগ যুগ ধরে পুলিশকে অপব্যবহার করা হয়েছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় এই বাহিনীর যে ভূমিকা দেখা গেছে, সেটিও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের কারণেই ঘটেছে। দেশ পরিচালনার অংশ না হয়ে পুলিশ দল চালানোর জন্য কাজ করেছে। তখন যে দল ক্ষমতাসীন ছিল, তারা মনে করত পুলিশ তাদের দলেরই একটি বর্ধিত অংশ।

মাহ্‌ফুজ আনাম বলেন, কাজের স্বাধীনতা দিতে হবে পুলিশকে। রাজনৈতিক কারণে পুলিশকে যেন অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা না যায়, সেই সংস্কার করতে হবে। এ জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে পুলিশকে ব্যবহার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে যারাই সরকারের এসেছি, তারাই এই পুলিশকে বিনষ্ট করেছি। সবাই রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত বা শক্তিশালী করতে অথবা পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পুলিশকে ব্যবহার করেছি। এতে কমবেশি অসত্য কিছু নেই। কিন্তু পুলিশ ব্যবহৃত হয়েছে, এটাও সত্য। নিয়োগ থেকে শুরু করে পদোন্নতি পর্যন্ত সব জায়গায় যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে, সেই পুলিশ দিয়ে কী আশা করা যায়?’

জনমুখী পুলিশ করতে চাইলে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতা দিতে হবে। বাহারুল আলম, পুলিশের মহাপরিদর্শক

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যত মামলা হয়েছে এবং মব ক্রাইসিস হয়েছে, এই দুটো জিনিস এই সরকার এবং জনগণের সবচেয়ে বেশি ড্যামেজ করেছে। একটি মামলায় দুই হাজার, পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাগুলো নিয়েছে পুলিশ।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, যারাই সরকারে যাক, তাদের মধ্যে যেন এমন বদ্ধমূল ধারণা না থেকে যে আগামীবার তারা বিরোধী দলে যাবে না। বিরোধী দলে যাওয়ার মানসিকতা থাকলে রাষ্ট্রে সুশাসন জারি হবে। তাহলেই পুলিশ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হবে না। প্রশাসন স্বচ্ছভাবে কাজ করতে পারবে।’

পুলিশকে নির্যাতকের ভূমিকায় মানুষ আর দেখতে চায় না বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন। তিনি বলেন, জনবান্ধব করতে পুলিশকে নৈতিক প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের সময় পুলিশের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি।

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন দরকার

বৈঠকে হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, মামলার তদন্তে বিলম্বের অন্যতম কারণ ক্ষমতাসীনদের নির্দেশ পুলিশ পরিচালিত হয়। ধীরে চলার নির্দেশনা এলে পুলিশের তদন্তের গতিও কমে যায়। রাজনৈতিক প্রভাব ও হস্তক্ষেপের বাইরে আসতে হবে পুলিশকে। একই সঙ্গে পুলিশের নিয়োগ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার পাশাপাশি স্বচ্ছ হতে হবে।

স্বাধীন পুলিশ কমিশনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিরোধিতা করা হয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো কিছুই কার্যত কাজে আসবে না।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আরেকজন সদস্য ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত সময়ে পুলিশের মূল কর্তৃত্বের অধিকারী যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এমন কোনো অপরাধ বাকি রাখেননি, যেটা অপরাধ বইয়ে নেই। এটা কেবল রাজনৈতিক কারণে হয়েছে—এমন ন্যায্যতা দেওয়ার সুযোগ নেই।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন শেষ সময় পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশনে আলোচিত হয়নি। এর কারণ পরিষ্কার। রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক এবং পুলিশ নিজেই সেটি হতে দেয়নি। ক্ষমতাকে জবাবদিহির জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক শক্তি যেমন চায় না, তেমনি আমলাতন্ত্র এবং পুলিশও চায় না।

ক্ষমতা ধরে রাখার মানসিকতা

পুলিশ সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবচেয়ে বেশি দরকার বলে মনে করেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা। তিনি বৈঠকে বলেন, ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন পরিবর্তন করতে হবে। এই আইন পরিবর্তন হয় না ক্ষমতা ধরে রাখার মানসিকতা থেকে। যতগুলো পুলিশ কমিশন হয়েছে, এর মধ্যে এবারের কমিশন সবচেয়ে আশাহীন এবং অকার্যকর কমিশন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‘আমরা ভালো হতে চাই’

বৈঠকে পুলিশের বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘পুলিশের তরফ থেকে ২০০৬-০৭ সাল থেকেই বলছিলাম, আমাদের সংস্কার হোক। আমরা ভালো হতে চাই। প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করেন। ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। কিন্তু ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমাদের দেওয়া সেই প্রস্তাবনা ঘুমন্ত অবস্থাতেই আছে।’

বাহারুল আলম বলেন, জনমুখী পুলিশ করতে চাইলে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতা দিতে হবে। পুলিশকে মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে হবে। পুলিশ একটি স্বাধীন সংস্থার কাছে থাকুক। তিনি বলেন, মামলায় কাকে গ্রেপ্তার করা হবে, কার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে—সেটা যেন কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব চাপিয়ে দিতে না পারে। এই জায়গাটা পুলিশ চেয়েছে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পুলিশ অনেক কাজ সঠিকভাবে করতে পারছে না বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ।

বৈঠকে বক্তব্য দেন সাবেক পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিজওয়ানুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজির (প্রশাসন) দায়িত্বে থাকা কাজী মো. ফজলুল করিম, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ফাহমিদা আক্তার, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্র হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী এখন যুবদল নেতা!
  • দুর্দান্ত প্রকৌশলী, প্রাণবন্ত মানুষ
  • ‘আপনাদের কার্যক্রম তো সন্ত্রাসীদের মতো’ সাংবাদিকদের বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভিডিও ভাইরাল
  • ‎ বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
  • ব্যাংকিং খাতে আস্থা বাড়াতে নিজের কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগের গল্প বললেন সৈয়দ মাহবুবুর রহমান
  • ভারত ম্যাচের আগে দলে মনোবিদ যুক্ত করেছে পাকিস্তান
  • প্রকাশ্য থেকে গুপ্ত: ভেতর থেকে দেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি
  • ডাকাতি হওয়া ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
  • বেতনের অর্ধেক যদি চলে যায় বাসা ভাড়ার পেছনে...
  • রাজনৈতিক ‘অস্ত্র’ না হয়ে প্রভাবমুক্ত হোক পুলিশ