জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণ, অধ্যাদেশ সংশোধনসহ কয়েকটি দাবি আদায়ে সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকে কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতি পালন করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুই দিন আগে এ কলম বিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।  

সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবনের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্ল্যাকার্ডগুলোতে লেখা আছে— ‘গোলামী আইন বাতিল কর, করতে হবে’, ‘বদলির নামে প্রহসন, মানি না, মানব না’, ‘বদলির নামে জুলুমবাজি, বন্ধ কর, করতে হবে’, ‘এনবিআর হলো রাষ্ট্রের খুঁটি, বিলুপ্তিতে হবে দেশের ক্ষতি’ প্রভৃতি।

ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২৫ মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে সরকার এনবিআর বিলুপ্ত না করে একে স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরো শক্তিশালী করা, রাজস্ব নীতি প্রণয়ণের লক্ষ্যে আলাদা একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠন করা এবং প্রয়োজনীয় সব সংস্কারের পূর্ব পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না বলে জানালে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের আলোকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ, সিভিল সোসাইটি, থিংক ট্যাংক, ব্যবসায়ী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী ‘কেমন এনবিআর চাই’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু, এনবিআরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি বলে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

পরে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদ জানায়, এনবিআর চেয়ারম্যান মো.

আবদুর রহমান খান অসহযোগিতা, নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির ব্যাপকতা ও যৌক্তিকতার বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঠিক তথ্য না দিয়ে আড়াল করেছেন। এ কারণে তার অপসারণ দাবি করা হয়। বাজেটের আগে তার পদত্যাগের সময় বেঁধে দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। বাজেটের পর আবার সংগঠনটির নেতৃত্বে ফের কাফনের কাপড় পড়ে কলম বিরতি শুরু করেছে এনবিআর কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ঐক্য পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর পর্যন্ত চলবে এ কলম বিরতি।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রূপগঞ্জে শ্রমিক সমাবেশ ও দোয়া 

স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার বরাব এলাকায় শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  (৮ জুলাই) বিকাল ৫টায়  ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুথান ও ফ্যাসিবাদের পতন দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ ও আহতদের স্মরণে শ্রমিক  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক এড.তারিকুল রহমান ।

তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও দেশের শ্রমিক শ্রেণি এখনো ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। সেই অভ্যুত্থানে ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবীদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও রক্ত দিয়েছেন। অথচ আজও শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।”

সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সাধারন সম্পাদক মো.হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন, নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের মনোনীত  সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা,ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন আবদুল মজিদ শিকদার,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আকরাম হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট সহকারী  পিপি এড.ইসরাফিল হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াতে ইসলামি কর্ম পরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান মিয়াজী,নারায়ণগঞ্জ মহনগরী শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি হাফেজ আবদুল মোমেন, প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সেক্রেটারী মো.হাফিজুর রহমান তিনি বলেন- “যদিও স্বৈরাচারী সরকার বিতাড়িত হয়েছে, তবে এখনো বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। আজও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কিছু ব্যক্তি জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।”

সমাবেশে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক, পেশাজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ