গলে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার পর সিরিজের নিয়তি এখন নির্ধারিত হবে কলম্বোতে। ২৫ জুন শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টকে সামনে রেখে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলে এনেছে পরিবর্তন। স্কোয়াডে যোগ হয়েছেন নতুন দুই বোলার। তাদের একজন অভিজ্ঞ পেসার, অন্যজন স্পিনার।

প্রথম টেস্টে ১৮ সদস্যের দল ছিল শ্রীলঙ্কার। তবে টেস্ট শেষে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস বিদায় নিয়েছেন লাল বলের ক্রিকেট থেকে। তার জায়গায় দলে যুক্ত হয়েছেন বাঁ-হাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো। অন্যদিকে, ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া মিলান রত্নায়েকের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন উদীয়মান স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগে।

বিশ্ব ফার্নান্দো এর আগে বাংলাদেশ সফরেই প্রমাণ দিয়েছেন তিনি দলের জন্য কতটা কার্যকরী। ২৭ টেস্টে ৭৯ উইকেটের অভিজ্ঞতা তাকে শ্রীলঙ্কার পেস ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য করে তুলেছে। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় লঙ্কান ম্যানেজমেন্ট।

আরো পড়ুন:

সোহানকে না রাখার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

তৃতীয় ওপেনার হিসেবে দলে নাঈম শেখ, সৌম্যকে কড়া বার্তা

অন্যদিকে, দুনিথ ভেল্লালাগে মূলত সাদা বলের ক্রিকেটে পরিচিত মুখ। তিনি রহস্য স্পিনার হিসেবে পরিচিত হলেও লাল বলে তার অভিজ্ঞতা কম। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০২৩ সালে টেস্ট অভিষেক হলেও এখনো উইকেটশূন্য। তবুও তার সম্ভাবনা এবং বৈচিত্র্য বিবেচনায় তাকে রাখা হয়েছে কলম্বোর দলে।

শ্রীলঙ্কার পেস বিভাগে রয়েছেন কাসুন রাজিথা, আসিথা ফার্নান্দো ও সদ্য যুক্ত হওয়া বিশ্ব ফার্নান্দো। স্পিন আক্রমণ সামলাবেন প্রবাথ জয়সুরিয়া, থারিন্ডু রত্নায়েকে, আকিলা ধনাঞ্জয়া এবং এখন দুনিথ ভেল্লালাগে।

কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কার স্কোয়াড:
ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, পাসিন্দু সোরিয়াবান্দারা, পবন রত্নায়েকে, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সোনাল দিনুশা, প্রবথ জয়সুরিয়া, থারিন্ডু রত্নায়েকে, আকিলা ধনাঞ্জয়া, দুনিথ ভেল্লালাগে, কাসুন রাজিথা, আসিথা ফার্নান্দো, বিশ্ব ফার্নান্দো, ঈষিতা বিজেসুন্দারা ও অসাথে ফার্নান্দো। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কলম ব

এছাড়াও পড়ুন:

আইএমএফের দুই কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার মিলবে দু-এক দিনের মধ্যে

বাংলাদেশের জন্য চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব অনুমোদনে করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় এ অনুমোদন করা হয়। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশ পাবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করা হয়। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ  হলো আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে। 

২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। ১৩০ কোটি পাওয়া গেলে ১০৯ কোটি ডলার বাকি থাকবে। তবে এ কর্মসূচির সঙ্গে নতুন করে প্রায় ৭৬ কোটি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে, বিশেষত টাকা-ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এর পর ওয়াশিংটনে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।

সবশেষ গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ