মার্ভেল অব টুমরো সিজন-৪: সেরার স্বীকৃতি পেলেন ৩২ জন কনটেন্ট ক্রিয়েটর
Published: 24th, June 2025 GMT
বাংলাদেশের কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রির বৈচিত্র্য ও সৃজনশীলতাকে উদ্যাপন করার পাশাপাশি দেশের ৩২ জন কনটেন্ট ক্রিয়েটর পেলেন সেরার স্বীকৃতি। গত শুক্রবার ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত বাংলাদেশের প্রথম ও অন্যতম ইনফ্লুয়েন্সার ফেস্ট এবং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ‘মার্ভেল অব টুমরো’র চতুর্থ আসরে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এবারের আসরে ২৭টি বিভাগে মোট ৩২ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান আমিন হান্নান চৌধুরী ও শৌভিক আহমেদ।
এক হাজারের বেশি অতিথির উপস্থিতিতে জমকালো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল রেড কার্পেট গ্ল্যামার, এক্সপেরিয়েন্স জোন, ফ্যাশন, মিউজিক ও ড্যান্স। মেরিল প্রেজেন্টস মার্ভেল অব টুমরোর এবারের আসরের সহযোগিতায় ছিল আরএকে সিরামিকস এবং ওমোডা ও জ্যাকু। রেড কার্পেটের সঞ্চালনায় ছিলেন ‘ডানাভাই জোশ’খ্যাত কনটেন্ট ক্রিয়েটর কামরুন নাহার ডানা।
এবারের আসরের থিম ছিল ‘স্থানীয় শিকড় ও বৈশ্বিক প্রভাব’ (লোকাল রুটস অ্যান্ড গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট); যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানোর সক্ষমতাকে দৃশ্যমান করা।
সাফিয়া সাথির ডিজাইন ও ইমু হাশমির কোরিওগ্রাফিতে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল আকর্ষণীয় ফ্যাশন পারফরম্যান্স। চিত্রনায়ক আরিফিন শুভসহ র্যাম্পে অংশ নেন দেশের জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম-ক্রিয়েটর ও মডেলরা। শো স্টপার হিসেবে উপস্থিত হন সালমান মুক্তাদির। মডেলরা পরেছিলেন ‘ড্যাজল বাই সোনিয়া’র এক্সক্লুসিভ জুয়েলারি।
এ ছাড়া ছিল সংগীতশিল্পী ও সংগীতপরিচালক সন্ধির নির্দেশনায় পাঁচজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর মিউজিক্যাল পারফরম্যান্স এবং ‘ফ্লো বাই ইরা’র চোখধাঁধানো নৃত্য পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক দ্য মার্ভেল-বিইউর সহপ্রতিষ্ঠাতা মাহজাবিন ফেরদৌস বলেন, ‘এবারের আয়োজন নিয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। ব্যতিক্রম আয়োজনটিতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের আনন্দিত করেছে।’
দ্য মার্ভেল-বিইউর আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা বৃতি সাবরিন বলেন, ‘“লোকাল রুটস অ্যান্ড গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট’’ থিমের মাধ্যমে বাংলাদেশের সৃজনশীলতাকে বিশ্বদর্শনে তুলে ধরতে আমরা সফল হয়েছি। অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের প্রতিক্রিয়া এ উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করেছে।’
বিভিন্ন বিভাগে এবারের বিজয়ীরা হলেন নেভার টু এক্সট্রা (ব্র্যান্ড প্রমোশন), স্টাইল হাট বাই তন্ময় (ফ্যাশন ভ্লগ), আফসানা ফেরদৌসি (ফ্যাশন ডিজাইন), সাফিয়া সাথি (ফ্যাশন ডিজাইন, সমালোচক), হক রিয়াজ (অটো রিভিউ), মি.
আয়োজনটির মিডিয়া পার্টনার ছিল দ্য ডেইলি স্টার, হাল ফ্যাশন, দ্য হেডলাইনস, টিন্ডস, সজু টুডে, ক্যাবলগ্রাম ও আওয়ার ক্যানভাস।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লিপুর কলমে লেখা হবে না মোসাদ্দেকের নাম
মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবসর নেওয়ায় ওয়ানডে দলে পরিবর্তনটা অনিবার্যই ছিল। মিডলঅর্ডারে জাকের আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি আগে থেকেই দুই সিনিয়রের জায়গা ‘বুকিং’ দিয়ে রেখেছিলেন। তারা দু’জনই আছেন শ্রীলঙ্কা সফরের দলে।
তবে ওলটপালট হয়েছে ওপেনিং স্লটে। চোট ও ইনটেন্টের কথা বলে নেওয়া হয়নি সৌম্য সরকারকে। তাঁর জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে ঢাকা লিগে ভালো করা নাঈম শেখকে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ভাষায় নাঈমের ‘ইনটেন্ট’ দেখে ভালো লেগেছে তাদের। যদিও নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিলেটে খেলা তিনটি ৫০ ওভারের ম্যাচে ১৮, ৪০ ও ৪ রান করা নাঈমের ব্যাটিংয়ের ইনটেন্ট ও ইমপ্যাক্টের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি লিপু।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঘোষিত ১৬ জনের স্কোয়াডের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের জাতীয় দলে ক্যারিয়ারের শেষই বলে দেন পরোক্ষে। ঢাকা লিগের সেরা খেলোয়াড় মোসাদ্দেক সব্যসাচী পারফরমার। মিডলঅর্ডারে ফিনিশার রোলে ভালো করা ২৯ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের বোলিংটাও কার্যকর। চার টেস্ট, ৪৩ ওয়ানডে ও ৩৩টি টি২০ খেলা মোসাদ্দেক ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দলে থাকার দাবি জোরালো করলেও নির্বাচক প্যানেলের কাছে উপেক্ষিত।
অথচ তিনি মাহমুদউল্লাহর জায়গায় ভালোভাবেই বিবেচনায় থাকতে পারতেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিপু বলেন, ‘আপনার কথার সরাসরি উত্তর দিতে চাই। আপনি আপনার সাংবাদিকতার আলোকে মনে করছেন যে মোসাদ্দেক হোসেন এই মুহূর্তে জাতীয় দলে খেলা উচিত। আমি ঠিক সেই জিনিসটা মনে করছি না। পরিষ্কারভাবে বলতে চাচ্ছি, যতক্ষণ মেহেদী হাসান মিরাজ আছে, মোসাদ্দেকের কোনো সুযোগ নেই। কোনো জিনিস খুব স্পষ্টভাবে হওয়া উচিত। আপনারা বুঝে অনেক সময় না বোঝার ভান করে কথা বলেন, এটা পীড়াদায়ক।’
মিরাজ-মোসাদ্দেক একই ঘরানার বোলিং অলরাউন্ডার। তবে ওয়ানডে দলে যোগ হওয়ার পর থেকে নিজেকে শানিত করতে পেরেছেন মিরাজ। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং ভালো করে প্রমোশন পেয়েছেন চার নম্বরে। সেক্ষেত্রে সাত নম্বরে মোসাদ্দেককে নেওয়া হলে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংটা দলের জন্য বোনাস হতে পারত। সেখানে লিপু স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন মোসাদ্দেকের ঠিকানা জাতীয় দল নয়। প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় দলে না নিলে বাংলাদেশ টাইগার্স বা ‘এ’ দলে নেওয়া কেন? নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে কেন তাঁকে রাখা হয়েছে?
একজনের লিগের পারফরম্যান্স জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত না হলেও অন্যজনেরটা গ্রহণীয়। তিনি হলেন ওপেনিং ব্যাটার নাঈম শেখ। লিগ ম্যাচে তাঁর ইনটেন্ট দেখে মুগ্ধ প্রধান নির্বাচক। যদিও ‘এ’ দলের সিরিজে ইনটেন্ট ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি।
বাঁহাতি এ ওপেনারকে নেওয়ার পেছনে লিপুর ব্যাখ্যা, ‘দল নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে আমরা নির্বাচকরা একটা বেস্ট পসিবল কম্বিনেশনের কথা ভাবি। সেটা ভাবার সময় ওপেনারের জায়গা তো একটা স্পেশালিস্ট জায়গা। তখন একজন বিকল্প ওপেনারের কথা চিন্তা করতে হয়। দলে তো ওপেনার তিনজন সাধারণত থাকে। সেই আলোকে আমাদের যখন চিন্তা করতে হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের তৃতীয় ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে ভালো এবং অ্যাভেইলেবল আছে, সেই আলোকেই নাঈম শেখ এসেছে দলে।’
সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সুযোগ দেওয়ায় সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার পুনর্জীবন পায় ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে। গত বছর গ্লোবাল টি২০ লিগে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ভালো খেলে জায়গা করে নেন টি২০ দলে। চোটের কারণে সম্প্রতি নিয়মিত খেলতে না পারা সৌম্যকে নেওয়া হয়নি। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভালো খেলেও নির্বাচকদের মন জয় করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান।
জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া সৌম্য-সোহান খেলবেন গ্লোবাল টি২০ লিগে। পরিবর্তনের স্কোয়াডে প্রথম সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। বাদ পড়েছেন আরেক বাঁহাতি নাসুম আহমেদ। গোড়ালির চোট পুনর্বাসন করে দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ওয়ানডে দলের ক্রিকেটাররা শ্রীলঙ্কা যাবেন ২৭ জুন। ২, ৫ ও ৮ জুলাই কলম্বো ও ক্যান্ডিতে হবে তিন ম্যাচের সিরিজ।