বাংলাদেশের কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রির বৈচিত্র্য ও সৃজনশীলতাকে উদ্‌যাপন করার পাশাপাশি দেশের ৩২ জন কনটেন্ট ক্রিয়েটর পেলেন সেরার স্বীকৃতি। গত শুক্রবার ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত বাংলাদেশের প্রথম ও অন্যতম ইনফ্লুয়েন্সার ফেস্ট এবং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ‘মার্ভেল অব টুমরো’র চতুর্থ আসরে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এবারের আসরে ২৭টি বিভাগে মোট ৩২ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান আমিন হান্নান চৌধুরী ও শৌভিক আহমেদ।

এক হাজারের বেশি অতিথির উপস্থিতিতে জমকালো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল রেড কার্পেট গ্ল্যামার, এক্সপেরিয়েন্স জোন, ফ্যাশন, মিউজিক ও ড্যান্স। মেরিল প্রেজেন্টস মার্ভেল অব টুমরোর এবারের আসরের সহযোগিতায় ছিল আরএকে সিরামিকস এবং ওমোডা ও জ্যাকু। রেড কার্পেটের সঞ্চালনায় ছিলেন ‘ডানাভাই জোশ’খ্যাত কনটেন্ট ক্রিয়েটর কামরুন নাহার ডানা।

এবারের আসরের থিম ছিল ‘স্থানীয় শিকড় ও বৈশ্বিক প্রভাব’ (লোকাল রুটস অ্যান্ড গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট); যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানোর সক্ষমতাকে দৃশ্যমান করা।

সাফিয়া সাথির ডিজাইন ও ইমু হাশমির কোরিওগ্রাফিতে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল আকর্ষণীয় ফ্যাশন পারফরম্যান্স। চিত্রনায়ক আরিফিন শুভসহ র‍্যাম্পে অংশ নেন দেশের জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম-ক্রিয়েটর ও মডেলরা। শো স্টপার হিসেবে উপস্থিত হন সালমান মুক্তাদির। মডেলরা পরেছিলেন ‘ড্যাজল বাই সোনিয়া’র এক্সক্লুসিভ জুয়েলারি।

এ ছাড়া ছিল সংগীতশিল্পী ও সংগীতপরিচালক সন্ধির নির্দেশনায় পাঁচজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর মিউজিক্যাল পারফরম্যান্স এবং ‘ফ্লো বাই ইরা’র চোখধাঁধানো নৃত্য পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানটির আয়োজক দ্য মার্ভেল-বিইউর সহপ্রতিষ্ঠাতা মাহজাবিন ফেরদৌস বলেন, ‘এবারের আয়োজন নিয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। ব্যতিক্রম আয়োজনটিতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের আনন্দিত করেছে।’

দ্য মার্ভেল-বিইউর আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা বৃতি সাবরিন বলেন, ‘“লোকাল রুটস অ্যান্ড গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট’’ থিমের মাধ্যমে বাংলাদেশের সৃজনশীলতাকে বিশ্বদর্শনে তুলে ধরতে আমরা সফল হয়েছি। অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের প্রতিক্রিয়া এ উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করেছে।’

বিভিন্ন বিভাগে এবারের বিজয়ীরা হলেন নেভার টু এক্সট্রা (ব্র্যান্ড প্রমোশন), স্টাইল হাট বাই তন্ময় (ফ্যাশন ভ্লগ), আফসানা ফেরদৌসি (ফ্যাশন ডিজাইন), সাফিয়া সাথি (ফ্যাশন ডিজাইন, সমালোচক), হক রিয়াজ (অটো রিভিউ), মি.

থ্রিপল আর (গেমিং), সানি গিরি (মটো রিভিউ), টকিং টিকি-টাকা (স্পোর্টস রিভিউ), পিসিবিল্ডার্স বাংলাদেশ (টেক রিভিউ), হ্যাটম্যান কুকিং (কুকিং), শিকদার সাহেব (ফুড রিভিউ), ডা. রায়হান শহীদুল্লাহ (হলিস্টিক ওয়েল-বিং), সালাউদ্দিন সুমন (ট্রাভেল ভ্লগ), মি. মিক্সার্স ওয়ার্ল্ড (ট্র্যাভেল ভ্লগ, সমালোচক), শান্তি রেহমান (ড্যান্স), মুজা (মিউজিক), মাশা ইসলাম (মিউজিক, সমালোচক), মেহেদী হাসান তরু (কমেডি), হিউমার ট্যাবলেট (এন্টারটেইনমেন্ট কনটেন্ট), ভাইসাব (এন্টারটেইনমেন্ট কনটেন্ট, সমালোচক), নাসির তামজীদ অফিসিয়াল (ইনফোটেইনমেন্ট), শুভাশিস ভৌমিক (ইনফোটেইনমেন্ট, সমালোচক), টু সেন্টস পডকাস্ট (পডকাস্ট), উম্মে কুলসুম পপি (এগ্রিকালচার, সমালোচক), মো. আবদুল কাইয়্যুম (পেট ওয়েলফেয়ার), ভালো কাজের হোটেল (সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, সমালোচক), মাসু আকে (আর্ট), জুবায়ের কাওলিন (ফটোগ্রাফি), কিংকর আহসান (রাইটিং, সমালোচক), বাপ কা বেটা (ইন্সপাইরিং চিলড্রেন), আরকে সোহান (অ্যাসপাইরিং ক্রিয়েটর) এবং রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্ট (হোম ডেকোর, সমালোচক)

আয়োজনটির মিডিয়া পার্টনার ছিল দ্য ডেইলি স্টার, হাল ফ্যাশন, দ্য হেডলাইনস, টিন্ডস, সজু টুডে, ক্যাবলগ্রাম ও আওয়ার ক্যানভাস।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট ইনম ন ট অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যে প্রশ্নের উত্তর নেই নুরুলের কাছেও

‘অনেক কিছু হতে পারত, অনেক কিছুই থাকতে পারত…’ কথাটা বলে নুরুল হাসান যেন দ্রুত সরে যেতে চাইলেন প্রসঙ্গ থেকে। বছর তিনেক আগেও টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুরোনো প্রজন্ম পেরিয়ে বাংলাদেশ খুঁজছিল নতুন কাউকে। ক্যারিয়ারে তখন রঙিন সময় নুরুলেরও। অথচ ছয় মাস পর ছিটকে যান টি–টোয়েন্টি দল থেকেই। এরপর এখন পর্যন্ত আর ফেরা হয়নি।

এই বাস্তবতা নুরুল মেনে নিয়েছেন সহজ এক ভাবনায়, ‘উত্থান–পতন তো জীবনেরই অংশ।’ দুই বছর ধরে জাতীয় দলে তিনি নেই কোনো সংস্করণেই। তবে এই পরিস্থিতিতেও নিজেকে হারিয়ে যেতে দেননি একটা মন্ত্র মেনে। কাল প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে সে কথাই বলেছেন তিনি, ‘যেখানে যতটুকু খেলছি, সব সময় চাই নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে আর দলের জন্য অবদান রাখতে। হয়তো কখনো সফল হই, কখনো ব্যর্থ—কিন্তু সততা আর পরিশ্রম দিয়ে কতটুকু চেষ্টা করছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুনকোহলি, রোহিত না গিল: অধিনায়কত্বের শুরুতে কে বেশি ভালো১৫ ঘণ্টা আগে

নুরুলের চেষ্টার প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সেও। গত প্রিমিয়ার লিগে ১১ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি আর সমান ফিফটিতে ৫৮ গড় আর ৯৩.৫৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫১২ রান করে। গত মে মাসে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচের একটিতে করেন সেঞ্চুরি, তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন চার দিনের ম্যাচেও।

এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা খুঁজে নিতে ‘এ’ দলের আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজটাকে কাজে লাগাতে চাইবেন নুরুল। কিন্তু দলে ফেরাটা যে সহজ নয়, সেটি কি আর তাঁর অজানা! টি–টোয়েন্টি দলে থিতু দুজন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। লিটন দাস তো অধিনায়কই, জাকের আলী দলের অন্যতম সেরা পারফরমার। এই বাস্তবতা মেনেই বললেন, ‘সব মানুষের জীবনেই চ্যালেঞ্জ থাকে। কে কতটা উপভোগ করছে, সামলে নিচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার জীবনেও দেখবেন, ১০টা জিনিস চেয়ে সব পাননি।’

‘এ’ দলের অধিনায়ক হিসেবে টস করছেন নুরুল হাসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে প্রশ্নের উত্তর নেই নুরুলের কাছেও