কলম্বোয় বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। গল টেস্টের পারফরম্যান্স দলকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে টাইগার হেড কোচ ফিল সিমন্স বলেন, গলের খেলাটা কলম্বোতেও দেখতে চান। কলম্বো টেস্টের চ্যালেঞ্জ নিতে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত তারা। 

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘যেভাবে আমরা গলে খেলেছি, তা দলকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। ছেলেরা ভালো করছে, ভালো খেললে মুড ভালো থাকে। দুই টেস্টের মধ্যে বিরতিটাও ভালো। তারা মানসিকভাবে শক্ত আছে। শারীরিকভাবে প্রস্তুত। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’ 

কলম্বোর উইকেট গলের মতোই ভালো বলে মনে করছেন কোচ সিমন্স। যদিও উইকেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা এখনো পাননি বলেও ইঙ্গিত করেছেন, ‘গতকাল উইকেট দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। আজ এখনো দেখিনি। আমরা গলের মতোই দৃঢ়ভাবে খেলার চেষ্টা করবো। কিছু জায়গায় উন্নতি দরকার। তবে প্রথম টেস্টের মান ধরে রাখতে পারলেও চলবে।’ 

জ্বরের কারণে গল টেস্টে খেলতে পারেননি অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ। কলম্বো টেস্টের একাদশে ফিরবেন তিনি। গলের মতো দুই স্পিনার নিয়ে খেললে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া নাঈম একাদশের বাইরে চলে যাবেন। তিন স্পিনার নিয়ে খেললে সুযোগ মিলবে মিরাজেরও। সেক্ষেত্রে কমাতে হবে ব্যাটার। বিষয়টি নিয়ে কোচ সিমন্স জানিয়েছেন, কম্বিনেশন নিয়ে এখনো ভাবেননি তারা। 

সিমন্স বলেন, ‘আজ উইকেট দেখবো, এরপর অনুশীলন শেষে টিম মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। একাদশের ভারসাম্য নিয়ে ভাবার আগে আমাদের উইকেটটা বুঝতে হবে। এরপরই বলা যাবে তিন স্পিনার নাকি তিন পেসার নিয়ে খেলানো হবে। নাঈম গলে খুব ভালো বোলিং করেছে। তাকে বাদ দেওয়া কঠিন হবে। তবে কন্ডিশন বুঝে দলের সেরা স্বার্থে একাদশ সাজানোও গুরুত্বপূর্ণ।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ল স মন স প রস ত ত স মন স কলম ব উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ