এইচএসসির প্রবেশপত্রে থাকা ১৮ নিয়ম জানতে হবে
Published: 24th, June 2025 GMT
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন। এরই মধ্যে তোমরা সবাই কলেজ থেকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করেছ। পরীক্ষা চলাকালীন অবশ্য মূল প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড দুইই পরীক্ষা কক্ষে সঙ্গে নিয়ে যাবে। আর বাসায় প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ফটোকপি করে তা সংরক্ষণ করবে। তোমার প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা অবশ্যই পালনীয় ১৮টি নিয়মাবলি পড়বে। তা থেকে তোমরা অনেক দরকারি তথ্য জানতে পারবে।
*পরীক্ষার্থীর অবশ্যই পালনীয় ১৮টি নিয়মাবলি১.
২. পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ‘এক ঘণ্টা আগে’ এবং পরবর্তী দিনগুলোতে ‘আধা ঘণ্টা আগে’ পরীক্ষা হলের দরজা খোলা হবে। পরীক্ষার্থীকে এই সময়ের মধ্যে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করতে হবে।
৩. পরীক্ষার সময় শেষ হলে কক্ষ পর্যবেক্ষকেরা (ইনভিজিলেটর) উত্তরপত্র সংগ্রহ করার আগে কোনো পরীক্ষার্থী তার ‘আসন ছাড়তে’ পারবে না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ‘দুই ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে’ কোনো পরীক্ষার্থীকেই উত্তরপত্র দাখিল করতে দেওয়া হবে না।
৪. কোনো পরীক্ষার্থীকে কেবল ‘প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড’ ছাড়া অন্য কোনো নোট, কাগজ, বইপত্র ও মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ডিভাইস সঙ্গে নিতে দেওয়া হবে না।
৫. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের কলম, কালি, বল পয়েন্ট কলম ও পেনসিল সঙ্গে নেবেন এবং সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা নিজেরাই করবে।
৬. পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থানে নিজ বোর্ডের নাম, পরীক্ষার নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোডের ঘর যথাযথভাবে ‘কালো কালির বল পয়েন্ট কলম’ দ্বারা পূরণ বা ভরাট করবে।
৭. পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্রের ‘নির্ধারিত স্থান’ হতে উত্তর লেখা শুরু করবে। উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠা ব্যতীত অন্য সব পাতার উভয় পৃষ্ঠাতেই উত্তর লিখতে হবে। পরীক্ষার্থীর লিখিত উত্তরপত্রের সর্বশেষ উত্তরের নিচে ‘END’ অথবা ‘সমাপ্ত’ কথাটি অবশ্যই লিখতে হবে।
৮. উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অন্য কোনোখানে ‘কিছু লেখা বা দাগ’ দেওয়া যাবে না অর্থাৎ নিষিদ্ধ ।
৯. উত্তরপত্রটিকে কোনো অবস্থাতেই ভাঁজ করা যাবে না। মার্জিনের জন্য ‘স্কেল ও পেনসিল বা কলম’ ব্যবহার করতে হবে।
১০. উত্তরপত্রে আপত্তিকর লেখা বা অসৌজন্যমূলক মন্তব্য বা অনুরোধ, উত্তরপত্র জমা না দিয়ে হল ত্যাগ করা, পরীক্ষা পরিচালনায় নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন বা সুষ্ঠু পরীক্ষা পরিচালনায় কোনোরূপ বাধার সৃষ্টি করা হলে পরীক্ষা বাতিলসহ আইনানুগ ‘কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ গ্রহণ করা হবে।
১১. উত্তরপত্রের ভেতরে কোনো জায়গায় পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, মোবাইল বা টেলিফোন নম্বর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, কেন্দ্রের নাম কোনো অবস্থাতেই লেখা যাবে না। এ ধরনের কিছু লিখলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর ‘পরীক্ষা বাতিল’ বলে গণ্য হবে।
১২. বোর্ডের সরবরাহ করা উত্তরপত্রের Top Cover (OMR) মুদ্রণে কোনো ধরনের ত্রুটি বা ক্রমিক নম্বর মুদ্রিত না থাকলে বা উত্তরপত্র ছেঁড়া কাটা থাকলে বা সেলাই সঠিকভাবে না থাকলে উত্তরপত্রটি পরিবর্তন করে নিতে হবে। ‘লিথোকোড’ নির্দিষ্ট স্থানে মুদ্রিত না থাকলেও উত্তরপত্রটি পরিবর্তন করে নিতে হবে।
১৩. কোন উত্তরপত্রের TOP Cover-এ একাধিক OMR ফরম যুক্ত থাকলে উত্তর পত্রটি পরিবর্তন করে নিতে হবে।
১৪. নিয়মাবলির ১২ ও ১৩ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত ত্রুটি বা সমস্যা থাকলে উত্তর লেখা শুরু করার আগে ‘উত্তরপত্রটি পরিবর্তন’ করে নিতে হবে।
১৫. কোনো পরীক্ষার্থী টপ কভারের প্রথম অংশ ছিঁড়তে পারবে না এবং কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর) পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে টপ কভারের প্রথম অংশ ছিঁড়তে পারবেন না।
১৬. উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠায় অর্থাৎ ওএমআর শিটের নির্দিষ্ট বক্সের লিথোকোড ও দাগের মধ্যে কোনো ‘কিছু লেখা বা দাগ’ দেওয়া যাবে না।
১৭. উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠায় প্রথম অংশের বৃত্তাকার ঘরগুলো এমনভাবে ভরাট করতে হবে যাতে এগুলোর ভেতরের লেখাটি দেখা না যায়।
১৮. অতিরিক্ত উত্তরপত্র প্রয়োজন হলে কক্ষ পর্যবেক্ষকের (ইনভিজিলেটর) স্বাক্ষর করা অতিরিক্ত উত্তরপত্র নিতে হবে এবং পরীক্ষা শেষে Top Cover OMR ফরমের নির্ধারিত স্থানে অতিরিক্ত উত্তরপত্রের সংখ্যা লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। পরীক্ষা শেষে অবশ্যই অতিরিক্ত উত্তরপত্র মূল উত্তরপত্রের সঙ্গে সুঁই সুতা দিয়ে সেলাই করে দিতে হবে। তবে উত্তরপত্রের বাম পাশের ওপরের কর্নারে এমনভাবে সেলাই করতে হবে যেন পারফোরেশন-এর বাইরে থাকে।
লেখা: মির্জা মাহমুদা, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ র অবশ য হওয় র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল পরীক্ষার্থী। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা অন্তত দুই মাস পেছাতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়ছে। এতে অনেক পরীক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। এখন পরীক্ষা নেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে।
সরেজমিনে বেলা দুইটার দিকে দেখা যায়, শিক্ষা বোর্ডের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাঁরা মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর সেখানে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা এসে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত ছাড়া সরবেন না বলে জানান। বিক্ষোভে থাকা ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে একজন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে সে দায়ভার কি শিক্ষা বোর্ড নেবে? শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে একটি যৌক্তিক সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে।’
ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আবদুল মন্নান ও মোহাম্মদ দিদারুল আলম। তাঁরা বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন হবে। শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানানোর পর তাঁরা সরে যান।’